সুজাপুরে কংগ্রেস দফতরে ঈশা। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের সুজাপুরের কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় সুজাপুর বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর প্রচারে বাধা দেওয়ার পাশপাশি মারধর ৩ জন কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার জেরে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। মালদহের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনীয় আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজাপুর বিধানসভার বালুপুর কংগ্রেসের প্রচার গাড়িতে হামলা করা হয়। হামালার সময় সাংসদ হাসেম তাঁর ছেলে সুজাপুরের বিদায়ী বিধায়ক ঈশার সমর্থনে এলাকায় ভোট প্রচার করছিলেন। হাসেমের মিছিলের কিছুটা আগে একটি টোটোয় মাইক বেঁধে প্রচার করছিলেন কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী। সেই টোটোকে বালুপুরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বাধা না মানলে টোটোটি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ৩ম কংগ্রেস কর্মীকে মারধর এবং প্রাণে মারার হুমকি দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি, মারধর করা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী কংগ্রেস কর্মী টোটো চালককেও। হাসেম জানান, পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে মালদহের জেলাশাসককে অভিযোগ করা হয়েছে জেলা কংগ্রেসের তরফে। তিনি বলেন, ‘‘সুজাপুর কেন্দ্রটি বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সাহায্যে এই কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের উপর আমাদের আস্থা আছে।’’
ঘটনার পরে ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন ঈশা। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলালচন্দ্র সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘সুজাপুরে কংগ্রেসের শক্ত মাটি নরম হচ্ছে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে সহানুভূতি তৈরি করে ভোট ভিক্ষা করছে। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন।’’