তৃণমূলের পতাকা হাতে এ ভাবেই গাড়ি ঘিরে থাকতে দেখা যায় কিছু মানুষকে। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
পঞ্চম দফার ভোটে এখনও বাকি প্রায় এক সপ্তাহ। তার আগে নির্বাচনী প্রচার ঘিরে তেতে উঠল উত্তর মালদহের মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্র। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী মোক্তাকিন আলমের প্রচারে হিংসা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রচার চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোক্তাকিন। আহত হয়েছেন মালদহ দক্ষিণের লোকসভা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও। মালদহের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আবু হাসেম। বিষয়টি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও। তৃণমূল যদিও হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মোক্তাকিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু হাসেম। মানিকচকের মিল্কি, শোভানগর-সহ একাধিক জায়গায় কর্মিসভা এবং মিছিল সেরে ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ন’ঘরিয়া গ্রামে পৌঁছন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে প্রচার করা যাবে না বলে তাঁরা দাবিও তুলতে থাকেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার পরই পরিস্থিতি হিংসাত্মক আকার নেয়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন গাড়িতে হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও রকমে মোক্তাকিন এবং আবু হাসেমকে বিক্ষোভ থেকে বার করে আনেন। তার পর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু। বরং এলাকাবাসীই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। শুভময় বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। খুব শীঘ্র সত্যিটা সামনে আসবে। আসলে কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তবে এই ঘটনার প্রতিবাদে মানিকচকে পথে নেমেছেন কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।