পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গা। পালপাড়া এলাকার ওই সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের অন্তত ৬ জন। এই ঘটনায় তৃণমূল এবং আইএসএফ— দু’পক্ষই দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
নীলবাড়ির লড়াইয়ের পঞ্চম দফায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। সোমবার দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলা বাধে আব্বাসের দলের। অভিযোগ, এর পাল্টা হিসাবে আক্রান্ত হয় তৃণমূল। তৃণমূলের এক আক্রান্ত কর্মী মনিরুল ইসলামের দাবি, ‘‘সোমবার আমার বাড়ির সামনে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা এসে জোর করে দলীয় পতাকা বাঁধছিল। প্রতিবাদ করায় উপরে হামলা চালায় আইএসএফের প্রায় ৩০ জন কর্মী-সমর্থক।’’ অভিযোগ, বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরে মনিরুলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মণিরুল ও তাঁর ভাই-সহ কয়েক জনের উপর এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে দাবি তৃণমূলের।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪ জন তৃণমূলের এবং ২ জন আইএসএফের কর্মী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সোমবার এই ঘটনার খবর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেগঙ্গার জীবনপুর বাজারে তৃণমৃল কর্মী-সমর্থকরাও একজোট হন। পুলিশকে ঘিরে হাবরা পৃথিবা রোডের উপরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে দু’পক্ষই দেগঙ্গায় থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।
যদিও তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দেগঙ্গা বিধানসভার আইএসএফ প্রার্থী করিম আলি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে আমাদের কেউ হামলা চালায়নি। দলীয় কর্মীরা পতাকা বাঁধতে গিয়েছিল। সে সময় তৃণমূলের মনিরুল ও তার দলবল হামলা চালায়।’’
সোমবারের সংঘর্ষের পর এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি প্রহরা চলছে। নামানো হয়েছে র্যাফও।