এলাকায় মোতায়েন পুলিশ বাহিনী। নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের আগে মঙ্গলবার প্রচারের শেষ দিনে একাধিক কর্মসূচি ছিল বিজেপি ও তৃণমূলের। আর এই কর্মসূচি চলাকালীন টেঙ্গুয়া মোড়ে মুখোমুখি এসে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। দু’দলের সমর্থকরা সামনা-সামনি চলে আসায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামলায়।
মঙ্গলবার একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি জনসভা ও একটি রোড শো ছিল, তখন অন্যদিকে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে রোড শো ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। রোড শো ছিল বিজেপি-র তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীরও। সকাল থেকেই কখনও রেয়াপারা, কখনও মহম্মদবাজারে মমতার কনভয় ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। পরবর্তীকালে সভায় এই নিয়ে কথাও বলেন মমতা।
বিকেলেও দেখা যায় একই ছবি। বাঁশুলি মন্দিরে পুজো দিয়ে মমতার কনভয় যখন টেঙ্গুয়া মোড় পেরিয়ে সভার দিকে যাচ্ছে তখন সেখানে জড়ো হয়েছিলেন অনেক বিজেপি সমর্থক। কারণ তার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে রোড শো ছিল মিঠুনের। মমতার কনভয় দেখেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলেন তাঁরা।
মমতার কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পরে এলাকায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরাও ছিলেন সেখানে। তাঁরা পরিস্থিতি সামলাতে থাকেন। কিন্তু ঠিক তখনই নন্দীগ্রাম টাউন থেকে তৃণমূলের একটি বিশাল মিছিল এসে পড়ে সেখানে। এই মিছিল মমতার সভার উদ্দেশে যাচ্ছিল। টেঙ্গুয়া মোড়ে মুখোমুখি এসে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। একে অপরকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তাঁরা।
বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকরা মুখোমুখি হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু তা হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই আসরে নামে পুলিশ। সেখানে ব্যারিকেড করে দুই দলের সমর্থকদের আলাদা করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না বেরিয়ে যায় সে দিকে নজর রাখছেন তাঁরা।