বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের মধ্যেই কোচবিহারে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের চৈতন্যহাটের পুঁটিমারি এলাকায় অমল দাস নামে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মৃত্যুর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, সেই বিষয়ে পরিবারের লোক কিছুই বলতে পারেননি। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী সুকুমার রায় অভিযোগ করেন, ‘‘কিছুদিন আগেই অমল তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।’’
স্থানীয় বুথ সভাপতি বাসনা জোয়ারদার বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত থেকেই অমল নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকাল থেকে অনেকক্ষণ তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। তারপরে আমরা ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুর নাগাদ তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হয়। এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
যদিও বিজেপি-র অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। তৃণমূলের কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। তিনি আমাদের কর্মী ছিলেন। বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। তাই বলে খুন করার মতো জঘন্য কাজ আমরা করি না। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’’
মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। তারা এসে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।