নির্বাচন কমিশনের পাঠানো শোকজ নোটিসের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য সংক্রান্ত অভিযোগের জেরে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো শো-কজ নোটিসের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কমিশনে পাঠানো জবাবে তৃণমূলনেত্রী লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ)-র প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় তাদের অবদান খুব উঁচুতে’।
যদিও ওই চিঠিতেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে আসা সিআরপিএফ বাহিনীর প্রতি সুনির্দিষ্ট অভিযোগও করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে গত বুধবার কোচবিহারের সভায় তাঁর মন্তব্যের একাংশ তুলে ধরে তার ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন। তৃণমূলনেত্রীর দাবি সে দিন তিনি বলেছিলেন, ‘সিআরপিএফ যদি কোনও রকম বাধা দেয় তবে তাদের যেন মহিলাদের একটি দল ঘেরাও করে রাখে। অন্য একটি দল ভোট দিতে যায়। ভোট নষ্ট করবেন না। যদি শুধু ঘেরাও করে রাখে, তা হলে ওরা খুশি হবে যে, আপনারা ভোট দিতে পারলেন না। এটা ওদের পরিকল্পনা। বিজেপি-র পরিকল্পনা’।
সেই সঙ্গেই তাঁর ‘ব্যাখ্যা’, জনসভাতেই তিনি মহিলাদের বলেছিলেন, প্রয়োজন বুঝলে গ্রামে আসা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আটকাতে। আক্ষরিক ভাবে ঘেরাও কথার কথা বলেননি।
গত ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটের দিন হুগলির তারকেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত রামনগরে এক সিআরপিএফ জওয়ান স্থানীয় এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। লিখেছেন, ‘ওই ঘটনা আমাকে আহত করেছে’। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনও ‘গুরুতর ব্যবস্থা’ নেয়নি। প্রসঙ্গত, নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ মেলার পরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানকে ‘ক্লোজ’ করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট আইনি পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতারও অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোটপর্বে সিআরপিএফ-এর একটি অংশ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। সে কারণে সিআরপিএফ-এর ৬, ১৮ এবং ১৩৪ নম্বর কোম্পানির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম’।