ফাইল চিত্র।
এ বার, ২০০ পার। এমন স্লোগান বেঁধে দিয়েছিলেন, নীলবাড়ির লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের সেনাপতি অমিত শাহ। পঞ্চম দফার ভোটের পর থেকেই সরকার গড়ার শক্তি মিলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচারে কিংবা সাংবাদিক বৈঠকে একটাই দাবি করে এসেছেন, ‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’।
কিন্তু অষ্টম দফা ভোটের পরে পরে গত বৃহস্পতিবার একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাকলেও ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরেই থাকবে বিজেপি। কোনও কোনও সমীক্ষা বিজেপি-কে সরকার গড়ার মতো আশা দেখালেও ২০০-র আশেপাশে থাকার ইঙ্গিত দেয়নি কেউ। দলের কোনও নেতা স্বীকার করতে না চাইলেও এটা ঠিক যে, বুথ ফেরত সমীক্ষা পদ্মবাহিনীর আত্মবিশ্বাসে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে। যদিও দিলীপ বলছেন, ‘‘সমীক্ষা যাঁরা করেছেন তার থেকে বেশি মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। রাজ্যের সব বিধানসভা এলাকায় গত দু’মাসের মধ্যে গিয়েছি। বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু অন্য কথাই বলছে। আর আসল কথা এগজিট পোল বলে না, একজ্যাক্ট পোল বলে। সেটা দেখিয়ে দেবে আমরা যেমন বলেছি তেমন ফল হবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ব আমরা।’’
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনের জয়ের সুবাদে বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী ১২১টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেই জায়গা থেকেই রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে নীলবাড়ির লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে বিজেপি।
প্রচার পর্বেও সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে গেরুয়া শিবির। একেবারে শেষ দিকে করোনা পরিস্থিতি বদলানোর কারণে কিছুটা ছাড় দিতে হলেও মোদী-শাহ প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি। রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও ভিন রাজ্যের নেতারাও একই পথে হেঁটেছেন। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে চিন্তিত নন কেন্দ্রীয় নেতারাও। তবে রাজ্যে বিজেপি-র নেতাদের অনেকেই স্বীকার করেছেন যে কর্মী, সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস একটু হলেও টলিয়ে দিয়েছে সমীক্ষা। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, ‘‘এতে আর কী আসে যায়! সকলেই নিজের নিজের কাজ করেছেন। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আবার ফিরে আসবে আত্মবিশ্বাস। শুধু তাই নয়, বাংলার ঘরে ঘরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়ে যাবে।’’