শ্রীরামপুরে নড্ডার সভামঞ্চ। নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুরে আচমকাই বাতিল হয়ে গেল জেপি নড্ডার সভা। তৃতীয় দফার ভোটের আগের দিন হুগলির শ্রীরামপুর বিধানসভা এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জনসভা করার কথা ছিল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। বিজেপি-র তরফে জানানো হয়েছে, অন্য কর্মসূচির কারণে আসতে পারেননি নড্ডা। যদিও তৃণমূলের দাবি, সভায় লোক না হওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে।
প্রথমে জানানো হয়েছিল শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে নড্ডার নির্বাচনী সভা শুরু হবে বেলা সাড়ে ১১টায়। পরে বিজেপি-র তরফে জানানো হয়, সভার সময় পিছিয়ে দুপুর ১২টা হয়েছে। মাঠে ছাউনি করে প্রচুর চেয়ারও পাতা হয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য। সব আয়োজনই পাকা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায় নড্ডা আসছেন না।
সূত্রের খবর, সভা শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেলেও সভাস্থলে লোকসংখ্যা ছিল খুব কম। দুপুর ১টা নাগাদ বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, অন্য সাংগঠনিক কাজ পড়ে যাওয়ায় নড্ডার সভা বাতিল করা হয়েছে। এরপরই যে কয়েক জন লোক ছিল তারাও সভাস্থল ছেড়ে চলে যায়। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতায় টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের সমর্থনে রোড-শোয়ে অংশ নেন নড্ডা। যদিও তার আগেই শ্রীরামপুরের সভায় আসার কথা ছিল। সোমবার নড্ডার তৃতীয় কর্মসূচি হুগলি জেলারই চুঁচুড়ায়।
তৃণমূলের দাবি, সভায় লোক না হওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে জনসভা। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করে বিজেপি-র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক অনিল বিশ্বাস বলেন, ‘‘নড্ডা’জির আরও দু’টি কর্মসূচি রয়েছে সোমবার। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তার পর শ্রীরামপুরে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই সময় সভার অনুমতি না থাকায় সভা বাতিল করা হয়েছে। অন্য এক দিন শ্রীরামপুরের এই মাঠেই সভা করবেন বলে জানিয়েছেন নড্ডা।’’
অন্য দিকে, শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি সন্তোষ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা বারবার অভিযোগ করছি, বিজেপি টাকা দিয়ে সভায় লোক আনছে। গত ৩ দিন ধরে শ্রীরামপুর এবং রিষড়া থানায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে পুলিশকে জানিয়েছি যে ওরা টাকা ছড়িয়ে সভায় লোক আনার চেষ্টা করবে। পুলিশ তৎপর ছিল, তাই বিজেপি টাকা ছড়াতে পারেনি। তাই সভায় লোক হয়নি।’’