সময় সকাল ১০.৫৬। তখনও শুরু হয়নি সভা। ভাঙড়ায় সভাস্থলের ভিতরে অপেক্ষা। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় রেকর্ড ভিড় হবে, আগেই দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের আগে পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলের মাঠে সভা করেন মোদী। নেতৃত্বের দাবি, এ দিন পুরুলিয়ার ভাঙড়া নবকুঞ্জের মাঠের সভার ভিড় সে দিনের জমায়েতকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। বক্তৃতা চলাকালীন বারবার ‘মোদী মোদী’ স্লোগানে অল্পক্ষণ থামতেও হয় মোদীকে। তিনি ‘চুরির খেলা চলবে না’ বলে জনতাকে স্লোগান দিতে বলেন। প্রত্যুত্তর শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই গর্জনেই বোঝা যাচ্ছে, দিদির সরকার যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
সভা শেষে পুরুলিয়ার বিজেপি-র সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘ভাঙড়ায় তিন লক্ষ লোকের জমায়েতের লক্ষ্য ছিল। তা ছাপিয়ে গিয়েছে।’’ তবে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডুর দাবি, ‘‘বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লোক আনার পরেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজার পঞ্চাশের বেশি ভিড় করতে পারেনি বিজেপি। ওদের হার নিশ্চিত।” বিদ্যাসাগরবাবুর পাল্টা দাবি, সভায় আসা সবাই পুরুলিয়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, সভায় এক লক্ষের কিছু বেশি জমায়েত হয়েছিল।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলারই বলরামপুরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভায় মাঠের অর্ধেক ফাঁকা ছিল। বিজেপি সূত্রের দাবি, মোদীর সভায় ভিড় জমাতে নিজেদের সংগঠনকে পুরোদস্তুর কাজে লাগানো হয়। জেলার প্রতিটি বুথ থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের সভায় আনার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও দলের জেলা সভাপতির দাবি, ‘‘লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এসেছিলেন।’’
সময় দুপুর ১২.১৯। সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিড় ভাঙড়ার সভাস্থলের বাইরেও। বৃহস্পতিবার। ছবি: সঙ্গীত নাগ
মোদী দুপুর ১২টার কিছু আগে মঞ্চে ওঠেন। ভিড় অবশ্য জমতে শুরু করেছিল সকাল ৯টা থেকেই। সভার আগে দর্শকদের জন্য তৈরি তিনটে ‘হ্যাঙার’ ভরে ভিড় মাঠ ছাপিয়ে যায়। হুটমুড়া হাইস্কুলের মাঠে হেলিপ্যাডেও ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। শরীরে বিজেপির প্রতীক এঁকে, হনুমান সাজা কর্মীদের নিয়েও উন্মাদনা ছিল পুরোদস্তুর।