আসানসোল শহর জুড়ে ছড়িয়ে এমন হোর্ডিং। —নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলে ‘এ বার ঘটক বিদায়’। এমনই ইঙ্গিতবাহী হোর্ডিং ঘিরে এপ্রিলের উষ্ণতায় ‘পারদ’ চড়ছে পশ্চিম বর্ধমানের ওই শিল্পনগরীতে।
শহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং রাস্তার ধারে ছড়িয়ে রয়েছে ওই হোর্ডিং। আর হোর্ডিংয়ের এমন নাটকীয় বয়ান ঘিরে জনমানসে তৈরি হয়েছে কৌতূহলও। এক সময় বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত নাটক ‘ঘটক বিদায়’। ওই নাটকে অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং রবি ঘোষের মতো তারকারা। স্টার থিয়েটারে প্রায় ৫০০ ‘নাইট’রমরমিয়ে চলেছিল নাটকটি। সেই নাটকের স্মৃতিই কি ফিরিয়ে আনল ওই হোর্ডিং? আসানসোলের রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য বলছেন, হোর্ডিংয়ের ওই লিখন আসলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে লক্ষ্য করে দেওয়া গেরুয়া শিবিরের ‘বার্তা’। আগামী ২৬ এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমানে। ওই দিন ভোট আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রেও। তার আগে এমন হোর্ডিং দিয়ে শহর ছেয়ে বিজেপি মলয়কে অহরহ খোঁচা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শহর জুড়ে হোর্ডিং দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকারও করছে না পদ্মশিবির। তবে কার উদ্দেশে এই বার্তা তা অবশ্য স্পষ্ট করা হচ্ছে না দলের তরফে। বিজেপি-র মুখপাত্র পীষূষকান্তি গোস্বামীর কৌশলী জবাব, ‘‘ওই হোর্ডিংয়ের লেখা দেখে, যে কেউ, যা খুশি মনে করতে পারেন এবং বলতে পারেন। আমরা কারও উদ্দেশে এটা করিনি।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘ঘটক বিয়ের সময় লাগে। এ বার নির্বাচনে বলা হচ্ছে, ‘খেলা হবে’। আমরা বলছি, খেলা হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা ‘ঘটক বিদায়’ করার কথা বলছি।’’
বিজেপি-র হোর্ডিং-খোঁচা হজম করছে না জোড়াফুল শিবির। আসানসোলের তৃণমূল নেতা তথা মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক বলছেন, ‘‘আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়)-র নামে ১৭ টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বিজেপি-র রুচি কেমন, তা এর থেকেই বোঝা যায়। এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাই না। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে আমাদের রুচিতে বাধে।’’ তবে বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল।