প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনী প্রচার ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তপ্ত উত্তর দিনাজপুর। ভোটের আর চার দিন বাকি এই জেলায়। তার আগে শনিবার চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শাহিন আখতারের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি শাহিনকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি তাদের চোপড়ার দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন জখম হয়েছে বলে দাবি করেছে দুই রাজনৈতিক দল।
শনিবার এই নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদে উত্তেজনা এতটাই বাড়ে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় র্যাফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। মোতায়েন করা হয় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আগামী ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় ভোট উত্তর দিনাজপুরে। তার আগে শনিবার দুপুরে প্রচারের কাজে চোপড়া গ্রামপঞ্চায়েতের আড়ালি গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শাহিন। বিজেপি-র অভিযোগ, তখনই তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী বিধায়ক হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি মিছিলে হামলা চালায়। এমনকি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ করেছেন শাহিন। তাঁর গা়ড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। শাহিন বলেন, “শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থক নয়, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষও জখম হয়েছেন, সাত আটজন বিজেপি কর্মীও আহত হয়েছেন।”
অন্য দিকে, বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা অভিযোগে তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চোপড়ার তৃনমূল পার্টি অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। চোপড়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন এ ব্যাপারে পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানান, বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা তাদের কর্মীদের উপরেও হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীও আহত হয়েছেন।
এই ঘটনাটিকে ঘিরে শনিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল চোপড়ার আড়ালি গ্রাম। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী, র্যাফের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়।