প্রতীকী ছবি।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ২০ শতাংশই গুরুতর অপরাধের অভিযোগে বিদ্ধ। শুক্রবার ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের (এডিআর) যৌথ রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত প্রার্থীদের নিরিখে প্রথমে রয়েছে বিজেপি। তাদের ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা আছে। রিপোর্ট বলছে, বিজেপির এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মোট ৪৫টি আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে তৃণমূল ৪২টি আসনে লড়ছে। তাদের ১৬ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সিপিএমের ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের মাত্র এক জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পঞ্চম দফায় মোট ৩১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৫ জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। শতাংশের নিরিখে প্রায় ২০ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। তৃণমূলের ২৩ জন প্রার্থীর মোট সম্পদের পরিমাণ এক কোটি টাকা বা তার বেশি। বিজেপির ১৮ জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। কংগ্রেসের পাঁচ জন এবং সিপিএমের তিন জন প্রার্থী কোটিপতি। সম্পদের বিচারে সব থেকে ধনী কংগ্রেসের আইনজীবী-প্রার্থী ঋজু ঘোষাল। হলফনামা অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৯ কোটি টাকা। আবার দু’জন এমন প্রার্থীও রয়েছেন, যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য বলে তাঁরা হলফনামায় জানিয়েছেন।
এ বারের যে-সব প্রার্থী গত বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন, সমীক্ষক সংস্থা দু’টি তাঁদের সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির তুলনামূলক আলোচনা করেছে। তাতে সম্পত্তি বৃদ্ধির শতাংশের নিরিখে প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছেন রাজ্যের বিদায়ী দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু-সহ তিন তৃণমূল প্রার্থী।