ডেবরার দুই ভিন্ন এলাকায় প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর (উপরে) ও বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র
দু’জনেই প্রাক্তন আইপিএস। চাকরি ছেড়ে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে। এ বার ভোট-যুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা কেন্দ্রে মুখোমুখি লড়াই তাঁদের। এক জন বলছেন, তিনি প্রতিপক্ষ খুঁজেই পাচ্ছেন না। তা শুনে অন্য জনের কটাক্ষ, মামলার ভয়ে রাতে ঘুম আসছে না। তাই ভুল বকছেন প্রতিপক্ষ।
শুক্রবার ডেবরার গোলগ্রামের শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো ছিল। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মন্দিরে পৌঁছন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। পুজো দেন। মেলায় আসা লোকজন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্দির থেকে কিছু দূরে রাস্তার ধারে কয়েক জন ক্যারম খেলছিলেন। সেখানে গিয়ে স্ট্রাইকার হাতে নেন ভারতী। নিখুঁত নিশানায় লক্ষ্যভেদও করেন।
ভারতী চলে যাওয়ার পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সস্ত্রীক গোলগ্রামের ওই মন্দিরে যান ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। এত রাতেও কি প্রচার চলছে? জবাবে তিনি বলেন, “দলের কর্মীরা অনেক আগেই আমন্ত্রণ করেছিলেন। সারা দিনের প্রচার ও বৈঠক সেরে আসতে একটু রাত হয়ে গেল। এখন পুজো দিতে এসেছিলাম। পরে রাজনৈতিক প্রচারে আসব।”
শনিবার ডেবরা থেকে মাড়তলা পর্যন্ত র্যালি করেন বিজেপি প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। পরে সত্যপুরে গিয়ে শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে ভারতী দাবি করেন, ‘‘মানুষের মন থেকে তৃণমূল মুছে গিয়েছে। আমার কোনও প্রতিপক্ষ নেই। যাঁরা দাঁড়িয়েছেন তাঁরা আমার যোগ্য প্রতিপক্ষ নন।’’ সত্যপুরের এই মন্দিরে পুজো দিয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন হুমায়ুন। এ দিন সকালে ধামতোড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সেরেছেন তিনিও।
হুমায়ুন অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব প্রার্থীকেই ‘প্রতিপক্ষ’ বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সকলেই আমার প্রতিপক্ষ। তবে সবাই লড়ছেন দ্বিতীয়, তৃতীয় হওয়ার জন্য। কারণ, আমিই জিতছি। আর যিনি বলছেন প্রতিপক্ষ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। রাতে হয়তো ঘুম আসছে না। তাই এই সব অবান্তর কথা বলছেন।’’