ঝাড়গ্রামের রাস্তায় চা চক্রে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা। নিজস্ব চিত্র।
‘চায়ে পে চর্চা’। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুকরণে বিজেপি-র কোনও নেতার নয়। ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদার। বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে চা চক্রের মাধ্যমে প্রচার শুরু করলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সাঁওতালি সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বীরবাহা। বুধবার সকাল থেকেই জনসংযোগ অভিযান শুরু করেন তিনি। আর সেই কর্মসূচির কেন্দ্র ছিল শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকান। চা খাওয়ার পাশাপাশি সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে অনুরোধ জানান, তাঁকে ভোট দেওয়ার।
ঝাড়গ্রাম শহরের রাঘুনাথপুর এলাকা থেকে শুরু করে রাজ কলেজ পর্যন্ত বেশকিছু চায়ের দোকানে দলীয় কর্মীদের পাশে নিয়ে বুধবার আড্ডা দিয়েছেন বীরবাহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুর্গেশ মল্লদেব-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। ঝাড়গ্রামে আরও কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, এলাকার মানুষের তা জানান তাঁরা।
বীরবাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল এখানে জিতেই আছে। নতুন করে জেতানোর কিছু নেই। চা চক্রের মাধ্যমে আমি মানুষের আরও কাছে যেতে চাইছি। প্রার্থী ঘোষণার দু’দিন আগে কলকাতায় গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল বীরবাহা। তারপরেই ঝাড়গ্রামের প্রার্থী হয় তাঁকে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বীরবাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি-র।
রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেই বীরবাহার বেড়ে ওঠা। তাঁরহ বাবা প্রয়াত নরেন হাঁসদা ঝাড়খন্ড আন্দোলনের নেতা তথা ঝাড়খন্ড পার্টি ( নরেন)-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাধিক বার বিনপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন। বীরবাহার মা চুনিবালা হাঁসদাও বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। বীরবাহা গত বিধানসভা ভোটে বিনপুরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর প্রার্থী হিসেবে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে এ বার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র সুখময় শতপথী। বীরবাহার স্কুলের বান্ধবী মধুজা সেনরায় এই কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন।