এবার নদিয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা তেহট্টের প্রবীণ বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত যোগ দিচ্ছেন বিজেপি-তে। বুধবার বিকেলে তিনি কলকাতায় এসে বিজেপি-তে যোগদান করবেন। ২০১৬ সালে তেহট্ট থেকে বিধায়ক হলেও, এবার আর তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। বরং পাশের বিধানসভা কেন্দ্র পলাশীপাড়া থেকে বিধায়ক তাপস সাহাকে আনা হয়েছে তেহট্ট আসনে। তবে নিজের দলত্যাগ প্রসঙ্গে প্রার্থী হতে না পারার বিষয়টিকে একেবারেই দায়ি করতে নারাজ গৌরী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ১৯৯৮ সালে প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করেছি। সাত বছর নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলাম। ৩ বছর রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। অথচ এবার যখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হল, তখন টিভি দেখে জানতে পারলাম যে আমাকে আর প্রার্থী করা হয়নি। বিষয়টি আমার অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রার্থী করা বা না করা, সবকিছু দলের সিদ্ধান্তের ওপরে নির্ভর করে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে কিছুই জানানো হল না। এতদিন দল করার পর এই ব্যবহার কাম্য ছিল না।’’
প্রসঙ্গত, গৌরীশঙ্করবাবু ১৯৯৮ সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১১ সালে তাঁকে তেহট্টতে টিকিট দেওয়া হলে তিনি পরাজিত হন। পরে ২০১৬ সালে অবশ্য ওই আসন থেকেই জিতে বিধায়ক হন। মমতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও দল তাঁর সঙ্গে কেন এমন ব্যবহার করল তা বুঝেই উঠতে পারেননি তিনি। তাই কিছুটা অভিমানী হয়েই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলবদল করলেও, গৌরীশঙ্কর বিজেপি-র থেকে টিকিট চান না। কারণ প্রসঙ্গে তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক বলেছেন, ‘‘যে দলটা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে করলাম তাঁরা যখন এমন ভাবে বাদ দিল। তাহলে যে দলটা ২০ মিনিটও ভালো করে করিনি সেখানে কীভাবে টিকিটের প্রত্যাশা করব?’’
প্রসঙ্গত, সোমবার সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জটু লাহিড়ী ও শীতল সর্দ্দারও একইভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। বুধবারই গৌরীশঙ্করবাবুর সঙ্গেই পানিহাটি ও দমদম পুরসভার একঝাঁক কাউন্সিলর তৃণমূল ছেডে় বিজেপি-তে যোগ দেবেন।