মিঠুনের রাজভবন যাওয়া কেবল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে, তা মানতে নারাজ বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কী মিঠুন চক্রবর্তী? ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিন তাঁর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই এই জল্পনার সূত্রপাত। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে ভোট গণনার ঠিক আগের দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েও এগিয়ে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকেই। কিন্তু শনিবার দুপুরে আচমকাই মিঠুন রাজভবনে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। মহাগুরু কী কারণে রাজভবনে এসেছিলেন, তা অবশ্য খোলসা করেনি কোনও পক্ষই। তবে বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে বেড়ে চলা কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই রুপোলি পর্দার ‘ফাটাকেস্ট’ দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যপালের।
তবে মিঠুনের এহেন রাজভবন যাওয়া কেবল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে, তা মানতে নারাজ বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। কারণ, এ বারের ভোটে তিনি প্রার্থী না হলেও, প্রচার করেছেন জোর কদমে। তাই তাঁকেই বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ভাবা হচ্ছে। আর ভারতীয় সংবিধানের নিয়মানুযায়ী, কোনও ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী পদে আসীন হলে, ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হয়। আর বিজেপি-র বেশ কয়েকজন সাংসদ ইতিমধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাই তাঁরা কেউ ভোটে জিতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে, সে ক্ষেত্রে মিঠুন ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়ে সেই শর্ত পূরণ করতেই পারেন। তাই মহাগুরু মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলে, কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই কি কথা বলতে রাজভবন গেলেন ‘মিঠুনদা’? এমন জল্পনা বিজেপি-র কর্মী মহলে। আগ্রহ বিরোধী তৃণমূল সহ সংযুক্ত মোর্চার শিবিরেও। কিন্তু কেউই তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ্যে দেখাতে নারাজ।