পায়েল সরকার, রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
পত্নী না ‘উওহ’! বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিল এই ইস্যুতেই। তবে শেষ মুহূর্তে ‘পতিদেব’ শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি-র টিকিট না পাওয়ায় অঙ্ক পালটে যায়। শোভনের পত্নী তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর দিতে বিজেপি নিয়ে আসে টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। দেখা গেল, সেই পায়েলের ঝঙ্কারও মাত দিতে পারল না রত্নাকে। আড়ালে থেকেও কি শোভনের ‘উওহ’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাহায্য করলেন রত্নাকে! রবিবার বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে ১৯ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকা তৃণমূল প্রার্থীর সাফল্যের নেপথ্যে সেই ফ্যাক্টর একটা বড় কারণ হতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন শোভন। তার আগে ২০১১ সালেও জয়ী হয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকেই। তবে গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। স্ত্রী রত্নাকে ছেড়ে এখন বান্ধবী বৈশাখীরই সঙ্গী শোভন। তিন বছরে সে ভাবে আসেননি নিজের কেন্দ্রেও। তার পরও স-বান্ধবী বিজেপিতে আসা শোভন লড়তে চেয়েছিলেন পুরনো কেন্দ্র থেকেই। অন্য দিকে দল ছেড়ে যাওয়া শোভনের পরিবর্তে প্রার্থী খুঁজতে নেমে তৃণমূল বেছে নিয়েছিল রত্নাকেই। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর নির্বাচনী লড়াই দেখার সম্ভাবনা দেখা দিয়েও মিলিয়ে যায় বিজেপি-র হস্তক্ষেপে। শোভনকে বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিজেপি। ক্ষুব্ধ শোভন বৈশাখীকে নিয়েই বিজেপি থেকে ইস্তফা দেন। এর পরই রত্নার বিরুদ্ধে টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে প্রার্থী করে বিজেপি। দেখা গেল পায়েলের গ্ল্যামারও ফিকে হয়ে গেল রত্নার কাছে।
তৃণমূলের বিধায়ক এবং প্রার্থী দুলাল দাসের কন্যা রত্না। প্রচারে চেষ্টার কসুর রাখেননি। বাবা এবং স্বামীর কাছ থেকে শেখা রাজনৈতিক জ্ঞান উজাড় করে দিয়েছেন প্রচারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রত্নার ক্ষেত্রে ‘উওহ’ ফ্যাক্টর ছাড়া কাজ করেছে সেই বিষয়গুলিও।