—নিজস্ব চিত্র।
ভাইরাল হয়ে যাওয়া ‘টুম্পা’ গানের প্যারোডি তৈরি করে নেটমাধ্যমে প্রচারে নেমেছ সিপিএম। বিতর্ক শুরু হয়েছিল তা নিয়েই। এর মধ্যে ‘টুম্পা’ এসে পড়েছে দেওয়াল লিখনেও। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের শুড়েকালনা বাজারে ‘টুম্পা’ শীর্ষক দেওয়াল লিখন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার সকালে শুড়েকালনা বাজারে ওই দেওয়াল লিখন দেখা যায়। তাতে লেখা ‘চলো টুম্পা সোনা, ২৮ শে ব্রিগেড চলো’। তার পাশে অবশ্য লেখা আছে, ‘আমরা চাই নারী সুরক্ষা, কর্মসংস্থান। নয়া কৃষি আইন বাতিল করো’। যে দেওয়ালে বাম স্লোগান লেখা হত, কেন সেখানেই টুম্পাকে হাজির করা? তাই নিয়ে জামালপুরের সিপিএম নেতারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘যা বলার জেলা নেতারা বলবেন।’’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর দে জানান, ‘‘আমাদের প্রচার, গান বা পোস্টার রুচিসম্মত নয়, এ কথা কেউ বলতে পারবেন না। যা বলা আছে, তা তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে। তাই ওদের গায়ে লাগছে।’’
কিন্তু তৃণমূল বা বিজেপি এই নিয়ে সিপিএমকে বিদ্ধ করতে ছাড়েনি। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক বলেন, ‘‘সিপিএমের করুণ অবস্থা আরও প্রকট হল এই ঘটনায়। ওদের জামালপুর কেন, কোথাও পায়ের নীচে মাটি নেই। তাই চটকদারি প্রচার করে ব্রিগেডে লোক টানার এই চেষ্টা করছে।’’
অন্য দিকে জামালপুরের বিজেপি আহ্বায়ক জিতেন দকালের অভিযোগ, ‘‘এটা বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। সিপিএম ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। তাদের গণমাধ্যম ছিল, আন্দোলন ছিল। ওরাই ‘টুম্পা’ গানকে হাতিয়ার করেছে। আবার পোস্টার লিখে ব্রিগেড যাওয়ার ডাকও দিচ্ছে। ওরা বুঝে গেছে, ক্ষমতায় ফিরবে না। তবে এটা ওদের দলের ব্যাপার।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কয়েক দিন আগে জামালপুরে এসে বলে যান, ‘‘টুম্পা সোনা গানের বিষয়বস্তুটাই মূল কথা। কোনও বিষয়বস্তুকে বুঝতে একটি গান যদি সাহায্য করে তাতে কোনও অসুবিধা নেই।’’
যদিও সূর্যকান্ত মিশ্রের এই মন্তব্যের কটাক্ষ করেছে জামালপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ভূতনাথ মালিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বামেরা এখন মনে হয় বিপ্লবের পথ ত্যাগ করেছে। বাংলার মানুষ উন্নয়ন দেখে তৃণমূলকে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূল সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেই উন্নয়নের ‘খেলা’ কে সামনে রেখেই তৃণমূল এগিয়ে চলেছে।’’