বিজেপি-র ধর্নায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে ভোটগণনা হয়নি। গণনায় অনেক কারচুপি হয়েছে। গণনায় সম্পূর্ণ ‘ফেল’ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই কম সংখ্যক আসন পেয়েছে বিজেপি। ভোটগণনা নিয়ে এ বার কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে এমন মন্তব্যই করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনে দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন দলীয় নেতারা। সেখানে শুভেন্দুর সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত-সহ নব নির্বাচিত বিধায়কদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও, গণনার নাম করে কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-র এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি ১০০-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’’
গণনাকেন্দ্রে করোনা সংক্রমণ রুখতে দূরত্ব-বিধি মেনে চলার কথা জানিয়েছিল কমিশন। ফলে একটি ঘরে ৭টি করে টেবিল রেখে গণনা হয়েছিল। তা নিয়েও কমিশনের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি গণনা টেবিলের মধ্যে ৬ ফুট করে দূরত্ব রাখা হয়েছিল। ফলে অনেক জায়গায় এজেন্টরা সঠিক ফলাফল দেখতেই পাননি। গণনা ঠিক হলে আমরা আড়াই কোটির বেশি ভোট পেতাম।’’ পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গণনায় কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আমরা আদালতে যাব। সব ইভিএম আবার গণনা করতে হবে।’’
বিজেপি-র কোনও নেতার মুখে এই প্রথম কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার দাবি শোনা গেল। এর আগে নন্দীগ্রাম আসনে হেরে যাওয়ার পর কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই আসনে পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার শুভেন্দু পুনর্গণনার কথা বললেও, দিলীপ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গণনা নিয়ে তিনি শুধু মমতাকে আক্রমণ করেছেন। দিলীপ বলেন, ‘‘নির্বাচনে জেতার কৌশল সিপিএমের কাছ থেকে শিখেছে তৃণমূল। মমতা নির্বাচনে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর এখন পুনর্গণনার জন্য আদালতে যাওয়ার কথা বলছেন। যদি সৎ সাহস থাকে তা হলে উনি আদালতে যান। উপনির্বাচন করে পেছনের দরজা দিয়ে জিতে আসতে হবে না।’’