বেচারাম মান্না ও রত্না দে নাগ। — ফাইল চিত্র
গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে ‘মনখারাপ’ হয়েছিল। সেই সময় পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁকে ফিরিয়ে আনার। রবিবার মমতার মন্ত্রীদের তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনটাই জানালেন হুগলির পাণ্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ।
কংগ্রেস আমলে গোপাল দাস নাগ ছিলেন শ্রম দফতরের মন্ত্রী। বেশ কয়েক দশক পর, এ বার মন্ত্রী হচ্ছেন তাঁর মেয়ে তথা পাণ্ডুয়ার তৃণমূল বিধায়ক রত্না। পেশায় চিকিৎসক রত্না শ্রীরামপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন ২০০১ এবং ২০০৬ সালে। ২০০৯ সালে তাঁকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেন মমতা। সেই বছর তো বটেই, ২০১৪ সালেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন রত্না। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লকেটের কাছে হেরে যান তিনি। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না রত্না। বললেন, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হারের পর ভেঙে পড়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘তোমাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’ আজ মন্ত্রিত্ব পেলাম। বাবা থাকলে খুব খুশি হতেন।’’ ঘটনাচক্রে এ বার চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন লকেট। লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও এ বার কিন্তু হারের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। অন্য দিকে ২০১১ সালের পরিবর্তনের ঝড়েও অটুট থাকা বাম দুর্গ পাণ্ডুয়ায় এ বার ঘাসফুল ফুটিয়েছেন রত্না।
সিঙ্গুরে দলবদলু রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না। আবার হরিপাল থেকে জিতেছেন তাঁর স্ত্রী করবীও। মান্না দম্পতির এই জোড়া জয়ের ‘পুরস্কার’ হিসাবে বেচারামকে আবার মন্ত্রিত্বে ফিরিয়ে আনছেন মমতা। বিধানসভার টিকিট না পাওয়ায় বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই। সেই সিঙ্গুরেই বেচারামকে প্রার্থী করেন মমতা। সিঙ্গুরের মাটিতে সেই সম্মানের লড়াইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বেচা। পাচ্ছেন তার পুরস্কার। চন্দননগর থেকে দ্বিতীয়বার জিতে দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হচ্ছেন ইন্দ্রনীল সেনও। তবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি আগের বার হুগলি জেলার দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং অসীমা পাত্রের।