ম্যাথু: স্যার এটা আমার কার্ড। স্যার আমরা অন্তত ২৫-৩০টা সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছি। বহুজাতিক সংস্থা। বড় বড় সংস্থা। আমাদের মনে হয়েছে, এই নির্বাচনে তৃণমূল খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আমরা আপনাদের সমর্থন করতে চাইছি। অনেক কাজ আসছে। আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলাম। আমরা অনেকের সঙ্গেই দেখা করছি। আপনার সঙ্গেও দেখা করতে চাইছিলাম। সেটাই উদ্দেশ্য ছিল। আপনাদের সমর্থন করতে চেয়ছিলাম।
শোভন: আমি কী ভাবে আপনাদের... (অস্পষ্ট)। সিগারেট ধরালেন।
ইকবাল: ওঁরা বিজেপিকেও করছে। আমাদেরও ফাইন্যান্স করবে। তুমি নিয়ে নাও। আর অভিষেকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দাও। (অস্পষ্ট)
শোভন: (সিগারেট মুখে নিয়ে) অভিষেক এখন করবে না। অভিষেক করছে না।
ইকবাল: করছে না, না?
ম্যাথু: অভিষেক টাকা নেবেন না?
শোভন: এখন তো নয়। যদি ও বলে, আপনাকে জানাব।
ম্যাথু: আপনি একটু কথা বলুন। আমি শুধু একটু মুখ দেখিয়ে আসব। একটু বন্ধুত্বের জন্য।
ইকবাল: ভোট হয়ে যাক।
(অস্পষ্ট) দাদাকে এক লাখ কাল দিয়ে দিও। চার আছে।
ম্যাথু: (টাকা এগিয়ে দিয়ে) এতে চার লাখ আছে। আগামিকাল আরও এক লাখ দিয়ে দেব।
ইকবাল: আমি দিয়ে দেব। আমাকে দিও। আমি দিয়ে দেব।
শোভন: (টাকা নিয়ে তোয়ালে দিয়ে ঢাকতে ঢাকতে) ও এই
সমস্ত করছে না। কারণ মমতাদি পুরোটাই ওর দেখে নিচ্ছেন।
ইকবাল: দেখে নিচ্ছেন, না?
ম্যাথু: কী বলছেন?
ইকবাল: মমতাদিই অভিষেককে পুরো পয়সা দিচ্ছেন।
ম্যাথু: না না আপনি শুধু ওঁর সঙ্গে আলাপটা করিয়ে দিন।
ইকবাল: হ্যাঁ আলাপটা করিয়ে দাও।
শোভন: ভোটের পরে আলাপ করিয়ে দেব। আমি ওঁর ভোটের কাজ দেখাশোনা করছি। আমি করিয়ে দেব।
ম্যাথু: ভোটের পরে? ঠিক আছে।
ইকবাল: আচ্ছা ওই ডলার পেয়ে গেছো তো? ডলারটা দিয়ে দিয়েছি।
শোভন: হ্যাঁ, ওটা কত টাকা?
ইকবাল: ১ লাখ ৮৩ হাজার মানে কত?
শোভন: দেখে আমাকে একটু ফোনে বোলো।
ম্যাথু: ওঁর সঙ্গে কথা বলবেন। (অভিষেক)।
শোভন: হুমম। (ম্যাথুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে) যদি কোনও দরকার হয়...
ম্যাথু: নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই স্যার। আসি স্যার।