উৎসবের মেজাজে সভা কান্তির

জোটকে ফের কটাক্ষ মমতার

মঙ্গলবার রায়দিঘিতে জনসভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রায়দিঘির সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বহিরাগত। প্রায় আধ ঘণ্টার বক্তব্যের বেশির ভাগটাই কান্তিবাবুর বিরুদ্ধে কটাক্ষে ভরা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

উপরে রায়দিঘিতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জনসমাবেশ। নীচে মন্দিরবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল ও দিলীপ নস্কর।

মঙ্গলবার রায়দিঘিতে জনসভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রায়দিঘির সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বহিরাগত। প্রায় আধ ঘণ্টার বক্তব্যের বেশির ভাগটাই কান্তিবাবুর বিরুদ্ধে কটাক্ষে ভরা ছিল। বুধবার রায়দিঘির খাড়ি এলাকায় জোটের পাল্টা সভায় ভিড় টেনে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, রায়দিঘির ‘ঘরের লোক’ তিনিই।

Advertisement

রায়দিঘি বিধানসভার ১৭টি অঞ্চল থেকেই এ দিন প্রচুর মানুষ ঠা ঠা রোদের মধ্যে সভায় এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে নাচগানে কার্যত উৎসবের চেহারা নিয়েছিল সভা। এ দিন কান্তিববাবু ছাড়াও সভায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রও। এসেছিলেন সোমবার, ভোটের মার প্রহৃত সিপিএম নেতা তথা প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যও। তৃণমূল প্রার্থীকে দেবশ্রী রায়কে ইঙ্গিত করে বাদশা মৈত্রের ‘তোমার দেখা নাইরে....’ গানে উত্তাল হয় জনসভা।

মমতা তাঁর সভায় বলার চেষ্টা করেছিলেন, এসইউসি আলাদা দাঁড়িয়েছে। পুরনো কংগ্রেসকর্মীরাও ভোট দেবে না সিপিএমকে। এ দিনের সভায় অবশ্য সেই ভেদাভেদ চোখে পড়েনি। কঙ্কণদিঘি থেকে পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে সভায় এসেছিলেন আজীবন এসইউসি করা আলমবারি খান। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে এসইউসির জোটের পরে তাঁরা কিছুই পাননি। বরং তৃণমূল নেতারাই যা করার করে নিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘একবার তো ওদের সঙ্গে ছিলাম। বাড়ির মহিলারা স্কুলবাড়ি পরিস্কার করার কাজটুকুও পেলেন না। কেন থাকব ওদের সঙ্গে?’’

Advertisement

এ দিনই মন্দিরবাজারে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেও প্রত্যাশিত ভাবে জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলা এগিয়ে যাওয়া দেখে বিজেপি, কংগ্রেসের হিংসে হচ্ছে। এখন সিপিএম কংগ্রেসের বন্ধু হয়েছে। ভোটের পরে সিপিএমের কাস্তে আর কংগ্রেসের হাত কুপোকাত হবে।’’

বুধবার বিকালে মন্দিরবাজারে কানেয়া গ্রামের পাশের মাঠে জনসভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্তবাবুকে লক্ষ্য করে মমতার কটাক্ষ, ‘‘ওদের না আছে আক্কেল না আছে বুদ্ধিদাতা। সূর্যবাবু কখনও বলছেন একশো আসন পেয়ে গিয়েছি, কখনও বলছেন ২০০ আসন পেয়ে গিয়েছি। আমি বলি নিজের আসনটা পাবেন তো? কুড়িটা আসন পাবে কিনা ঠিক নেই।’’

অন্য দিকে, ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও সভা করেছেন। তবে ভিড় হয়নি তেমন। অমিতবাবু সারদা, সিন্ডিকেট, নারদ কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement