তরুণ মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
‘হেই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও শাণ হো’ শুনে বাম সমাবেশ চেনা প্রবীণ তরুণ মজুমদার নবীনদের ‘টুম্পা সোনা’য় আপত্তি দেখছেন না। তাঁর মতে, ‘‘সুর দিয়ে গান বিচার হয় না। গানের বিচার হয় কথা দিয়ে।’’
ভোটের আগে বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই আবেগে ফুটছে তিলোত্তমা। তাতে মাদল বাজিয়ে ‘রক্তঝরা’র গানে যেমন গলা মিলিয়েছেন বামজনতা, তেমনই সমস্বরে শোনা গিয়েছে ‘টুম্পা সোনা’ও।
জীবনের ৯০টি বসন্ত পার করে ফেলেছেন তরুণ মজুমদার। চোখের সামনে বাম দুর্গের পতন যেমন দেখেছেন, তেমনই নীলবাড়ির গজিয়ে ওঠার সাক্ষীও তিনি। আবার রাজ্যের গেরুয়া হাওয়াও তাঁকে ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও ব্রিগেডের নাম শুনলেও চোখেমুখে অদ্ভূত এক আলো খেলে যায়।
রবিবার ব্রিগেডে যাওয়ার আগে তা নিয়েই মুখ খুললেন পরিচালক। ‘টুম্পা সোনা’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই গান নিয়ে কোনও আপত্তি নেই আমার। সুর দিয়ে তো আর গান বিচার হয় না। গান বিচার হয় তার বিষয়বস্তু দিয়ে। এই গান দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটকেই তুলে ধরে। এমন গান তো তৈরি হবেই। নইলে অচলাবস্থা দেখা দেবে।’’
এই বয়সেও কিসের টানে ব্রিগেড যাচ্ছেন তিনি জানতে যাওয়া হলে তরুণ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এসেছিলাম একটা আদর্শ থেকে। সেই আদর্শের জায়গা থেকেই রবিবার ব্রিগেড যাচ্ছি। আমরা যখন এসেছিলাম, তখন গণনাট্য আন্দোলন চলছে। সলিল চৌধুরী, শম্ভু মিত্ররা তখন সেই আন্দোলনে শামিল। আমাদের শিকড় তাই অনেক গভীরে। সেই আদর্শের জন্যই ব্রিগেড যাচ্ছি।’’