রানিবাঁধের কালিখেন্না বুথে সকাল থেকে ভোটের লাইন।
গর্জনই সার হল। শাসকদল এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সকাল থেকেই ওঠা ভুরি ভুরি অভিযোগ স্পষ্ট করে দিল কার্যক্ষেত্রে আসলে বর্ষণ হল না! কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হল। তারা মূলত বুথের ভেতরের দায়িত্ব সামলাতেই ব্যস্ত। তা সত্ত্বেও বুথ দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, বুথের ঠিক বাইরে কোনও জটলা হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী সে দিকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না, উঠল এমন গুরুতর অভিযোগও।
মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৯২ নম্বর বুথে বেলিয়া প্রাথমিক স্কুলে কোতোয়ালি থানার দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ভোট তদারকির অভিযোগ উঠেছে। অথচ যে এলাকায় ভোট হচ্ছে স্থানীয় থানার কোনও পুলিশ কর্মীকে সেখানকার দায়িত্বে রাখা যাবে না বলেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মী বুথের ভেতরে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন, উঠেছে সেই প্রশ্ন।
শালবনিতে বুথদখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডে অভিযোগ করেন, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৬, ১০৮, ১০৯, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৬, ১৪৭ এবং ১৯০— এই আটটি বুথে বামেদের এজেন্টদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা হয়েছে।
এ দিন সকালেই পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৩৯ নম্বর বুথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রিসাইডিং অফিসারকে। নতুন প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোট শুরু হওয়ার পর অভিযোগ ওঠে, ওই বুথে শাসক দলের এক এজেন্ট ভোটারদের কোথায় ভোট দিতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রশ্ন ওঠে, প্রিসাইডিং অফিসার থাকা সত্ত্বেও এক জন এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন? ওই প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।
দেখুন ভিডিও...
তালড্যাংরার একটি বুথের ভেতর রাজ্য পুলিশের এক কর্মীকে সকালে দেখা যায়। পরে তাঁকে নির্বাচনের কাজ থেকে সরিয়ে দেয় কমিশন। এ ব্যাপারে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, বুথের ভেতরে রাজ্য পুলিশের কর্মী যে থাকতে পারবেন না, কমিশনের এমন নির্দেশের কথা তিনি জানতেন না।
আরও পড়ুন
গণতন্ত্রের পরীক্ষা