জোটের হাওয়ায় নয়া ‘জোশ’, আজ এক মঞ্চে বুদ্ধ-রাহুল

সবচেয়ে বড় ব্রহ্মাস্ত্রটি বুধবার বিকেলেই প্রয়োগ করতে চলেছে জোট শিবির। মঞ্চ একটাই। সেখানে রাহুল আসছেন। থাকছেন বুদ্ধদেবও। এই প্রথম বার। বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ঠিক আগে খাস কলকাতায় এমন যৌথ সভা শাসক দলের প্রচার হাওয়া অনেকটাই কেড়ে নেবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, দক্ষিণ কলকাতা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আসনগুলিতে ভোটের আগে রাহুল-বুদ্ধের যৌথ এই সভা জোটের মনোবল আরও বাড়াবে। এ দিনের সভায় ভালই লোক হবে বলে মনে করছে দু’পক্ষই। কারণ কংগ্রেসের পাশাপাশি এই সভায় লোক আনার ব্যাপারে মূল দায়িত্ব নিয়েছে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ১৪:২৫
Share:

সবচেয়ে বড় ব্রহ্মাস্ত্রটি বুধবার বিকেলেই প্রয়োগ করতে চলেছে জোট শিবির।

Advertisement

মঞ্চ একটাই। সেখানে রাহুল আসছেন। থাকছেন বুদ্ধদেবও। এই প্রথম বার। বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ঠিক আগে খাস কলকাতায় এমন যৌথ সভা শাসক দলের প্রচার হাওয়া অনেকটাই কেড়ে নেবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, দক্ষিণ কলকাতা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আসনগুলিতে ভোটের আগে রাহুল-বুদ্ধের যৌথ এই সভা জোটের মনোবল আরও বাড়াবে। এ দিনের সভায় ভালই লোক হবে বলে মনে করছে দু’পক্ষই। কারণ কংগ্রেসের পাশাপাশি এই সভায় লোক আনার ব্যাপারে মূল দায়িত্ব নিয়েছে সিপিএম।

পার্ক সার্কাস ময়দানে সমাবেশ করতে আগে থেকেই কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর আসার কথা ছিল। বাম গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ জোটের স্বার্থে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ওই সভায় বুদ্ধবাবুকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রথম দিকে গররাজি থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাহুলের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছেন বুদ্ধবাবু! এমনিতে এ বারের জোট-ভাবনা দুই পক্ষেরই নীচু তলা থেকে উঠে এসেছে। তার পর সেই দাবি উঁচু স্তরে তুলে ধরে কার্যত অনুমোদন আদায় করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবু কংগ্রেস নেতৃত্বই চাইছিলেন, তাঁদের সভায় সিপিএমের শীর্ষ নেতাদের হাজির করতে। সিপিএমও সেই ইচ্ছেতে সম্মতি দিয়েছিল। সেই মতোই আসানসোলে রাহুলের সভায় প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে, বসিরহাটে সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে, শ্রীরামপুরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সভায় রবীন দেবকে পাঠিয়ে জোট-বার্তা স্পষ্ট করতে শুরু করেছিল সিপিএম। শেষে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য লাগাতার দৌত্য চালিয়ে বুদ্ধবাবুর মতো ওজনদার নেতাকে রাহুলের পাশে হাজির করিয়ে জোট প্রচারের ব্রহ্মাস্ত্রটি প্রয়োগ করে ফেললেন।

Advertisement

এ বারের ভোটে বুদ্ধবাবু প্রচারে বেরোতে প্রথম দিকে রাজি ছিলেন না। পরে কয়েক দিন আগে ঢাকুরিয়া থেকে গড়িয়া পর্যন্ত রোড-শো’য় রাজি হয়ে বেরিয়েছিলেন। তবে পথে নামলেও এখনও কোনও নির্বাচনী সভা করেননি বুদ্ধবাবু। শেষ পর্যন্ত একটি সভা করতে রাজি হয়েছেন তিনি। এবং সেই সভা হবে রাহুলের সঙ্গেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement