কলকাতায় জুন মালিয়া, মেদিনীপুরের প্রচারে শমিতকুমার দাশ। নিজস্ব চিত্র।
চায়ের আড্ডা বাঙালির প্রিয়। আবার ‘চা চক্র’ প্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের মোদীর বার্তা দিতে তাই রোজই চায়ের আসর বসাচ্ছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী শমিতকুমার দাশ। মেদিনীপুর শহর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের জুন মালিয়া। জুনের অবশ্য ‘চায়ে পে চর্চা’-এ তেমন আস্থা নেই। আড্ডা দেওয়ার সময়ও নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ। প্রচারের কাজের ফাঁকেই মমতাকে দেখে এসে নন্দীগ্রামে মৌন মিছিলে হাঁটবেন জুন। এঁদের মধ্যে অভিনবত্বে কিছুটা পুরনোপন্থী পশ্চিম মেদিনীপুরে সবং কেন্দ্রের প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। মেদিনীপুর শহরের বটতলা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারে এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাক বাজিয়ে বিজেপির কর্মীরা মিছিল করে শহরের সিপাইবাজার, খাপ্রেলবাজার, রাজাবাজার এলাকায়। শহরে চা চক্রে যোগ দিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন বিজেপির প্রার্থী শমিত। আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিতেও দেখা যায় তাঁকে। মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন শমিত। প্রার্থী হওয়ার পর এখন অবশ্য সভাপতির পদ থেকে সরতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা গেল বিজেপির নেতৃত্বকে। কিন্তু চা চক্র কেন? শমিত বললেন,‘‘প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চা চক্রে যোগ দিই আমি। তেমনই চায়ের আসরে বসেছি। সাথে সেরে নিয়েছি ভোটের প্রচারও।’’
মেদিনীপুর বিধসভার তৃণমূলের প্রার্থী জুন অবশ্য বৃহস্পতিবার প্রচারের ফাঁকেই কলকাতায় নেত্রী মমতার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যান। পরে নেত্রীর জখম হওয়ার ঘটনায় সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে মৌন মিছিলের আয়োজনও করে তৃণমূল। কলকাতা থেকে ফিরে সেই কর্মসূচিতেও যোগ দেওয়ার কথা জুনের। আগামী ১৫ মার্চ মেদিনীপুর শহরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রোড শো করতে আসবেন বলেও জানানতৃণমূল যুব জেলা সহ সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী।
সবং কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মানস মেদিনীপুর শহরের বটতলা কালী মন্দিরে এসে পূজা দেন। তাতে অবশ্য কোনও গিমিক নেই বলেই দাবি করেছেন মানস। বলেছেন, মেদিনীপুর শহরে এলেই তিনি পুজো দেন এই মন্দিরে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও পুজো দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারও দিয়েছেন। নির্বাচনের সাফল্য প্রার্থনা করেছেন কি না জানতে চাওয়া হলে মানস বলেন, ‘‘উন্নয়নের নিরিখেই নির্বাচন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরবেন। আমরা তাঁরই সৈনিক।’’