দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় শান্তিপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই অজ্ঞাতপরিচয় ২ যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে আলোড়ন তৈরি হল নদিয়ার শান্তিপুরে। ওই যুবকদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে বিজেপি-র দাবি, ওই দু’জনই তাদের দলের কর্মী। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও একে বিজেপি-র ভুয়ো দাবি বলেছে তৃণমূল। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার শান্তিপুরে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুর থানার মেথিডাঙ্গা এলাকায় একটি কলাবাগানের ভেতর থেকে দু’জন যুবকের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দেহদু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ওই দু’জনের বয়স আনুমানিক ২৯-৩০। তবে দু’যুবকের নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা আগামী ২৭ মার্চ। তার আগেই দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, দু’জনকে অন্য কোথাও খুন করে কলাবাগানে ফেলে দেওয়া হয়।
ওই যুবকদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও বিজেপি-র দাবি, তাঁরা দলের সক্রিয় কর্মী। বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘নিহত দু’জন ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী। তাঁর পরিবারের সদস্যরা মর্মাহত। দেহ শনাক্ত করার জন্য পরিবারকে সময় দিতে হত। তবে পশ্চিমবঙ্গে দলদাসে পরিণত হয়েছে পুলিশ। তাই তাঁদের দেহ অজ্ঞাতপরিচয় বলে দাবি করছে।’’
এ খুনের পিছনে তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। যদিও শাসকদলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোন ভাবেই জড়িত নয়। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।