কেশপুরে মিঠুন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটপ্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী আসার আগেই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি-হামলা-ভাঙচুরে উত্তপ্ত হল কেশপুর। হামলায় আহত হয়েছেন জনা কয়েক।
শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের কুলবহড়া গ্রামে এই বোমাবাজি-হামলার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বোমাবাজির পাশাপাশি কর্মীদের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করে তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি-র মতে, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেই বোমাবাজি-হামলা চালিয়েছে শাসকদল। যদিও সে কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এমনটা ঘটেছে। বোমাবাজির খবর পেয়ে কুলবহড়া গ্রামে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
১ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় কেশপুরে ভোট হবে। তার আগে বিজেপি-র প্রচারের জন্য কেশপুরে এসেছেন মিঠুন। বিজেপি সূত্রে খবর, কেশপুর বিধানসভা আসনে দলীয় প্রার্থী পৃথ্বীশকুমার কউরের হয়ে ভোটের প্রচার করতে রবিবার বিকেলে এলাকায় আসেন মিঠুনের। রবিবার সেখানে একটি রোড শো করেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন। তবে মিঠুনের ওই কর্মসূচির আগের রাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ঘরবাড়িতে ভাঙচুর করা ছাড়াও বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে যথেচ্ছ বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ির সামনে পেট্রল বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার হামলার খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছন কেশপুর থানার কর্মী-আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় বিজেপি-র অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর রবিবার লক্ষ্মী দলুই নামে এক বিজেপি সমর্থক বলেন, “শনিবার রাতে বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বোমা ফাটিয়েছে তৃণমূল। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা।”
কেশপুরের গ্রামে বোমাবাজির ঘটনার পর তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি-র পূর্ব মণ্ডল নেতা সুজিত দলুই বলেন, “এলাকায় আমাদের দল ভাল ফল করবে ধরে নিয়েই সন্ত্রাস শুরু করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের লোকেরা বোমাবাজি করার পাশাপশি ঘরবাড়িও ভাঙচুর করেছে।” তবে বিজেপি-র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠির পাল্টা দাবি, “কেশপুর এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব বোঝানোর জন্যই মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। এটা বিজেপি-র নিজেদের মধ্যেকার ঘটনা।”