নিজস্ব চিত্র
দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি-র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর। অভিযোগ, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিৎ মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করার পাশাপাশি তাঁর মেয়ের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয়। সব কিছুর পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। বিজেপি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার এলাকায় দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময়ই এলাকার বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক এসে সেই কাজে বাধা দেয়। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ঘটনার পরে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতার বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর তাঁর মেয়ে ও তৃণমূল নেত্রী মিতালি মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসানোর পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নরেন্দ্রপুর থানায় জানানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছেও জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ১ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় রাতভোর এলাকায় পুলিশ টহল দিয়েছে। হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ। তারই সূত্র ধরে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আক্রান্ত তৃণমূল নেত্রী মিতালি মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরা বাড়ির মধ্যে ঢুকে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয়। ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে বিজেপি নেতৃত্বের মদতেই হামলা চালানো হয়েছে।’’