শুক্রবার বিকেলে ভার্চুয়াল স ভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুরে ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে এ পর্যন্ত যতবার সফরে এসেছেন এবং জনসভায় বক্তৃতা করেছেন, তার প্রতিটিতেই বারবার 'দিদি, ও-দিদি, ‘আদরনীয় দিদি' শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতায়। কিন্তু শুক্রবার তাঁর ৩৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ভার্চুয়াল বক্তৃতায় একটি বারও সেই ডাক শোনা গেল না। বরং বক্তৃতা জুড়ে শুধু বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে কী কী করবে তার তালিকা। মোদী বললেন, "বিজেপি বাংলার যুবাদের চাকরি, মা বোনেদের সুরক্ষা, জনগণকে ভ্রষ্টাচারমুক্ত শাসন, গুন্ডামিমুক্ত বাংলা, চাষিকে সমৃদ্ধি দিতে চায়।"
গত ১০ এপ্রিল রাজ্যে দুটি সমাবেশে ছিলেন মোদী। সেদিন আনন্দবাজার ডিজিটাল গুণে দেখেছিল শিলিগুড়িতে ৪৪ মিনিট আর কৃষ্ণনগরে ৩৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৭৮ মিনিটে মোট ১২৬ বার সুপরিচিত ‘দিদি, ও দিদি’ ডাক শোনা গিয়েছিল মোদীর গলায়।
শুক্রবার সভা ছিল ভার্চুয়াল। সাধারণ জনসভায় দেখা যায়, মোদী সুর করে ‘দিদি’ ডেকে মজা পান। পান হাততালিও। কর্মী-সমর্থকদের সেই উচ্ছ্বাসও যে তিনি পছন্দ করেন, সেটাও বোঝা যায় বক্তৃতায়। যত বার তিনি সুর কেটে ‘দিদি, ও-দিদি, আদরণীয় দিদি’ বলেছেন তত বারই বক্তৃতায় লম্বা যতি এনেছেন। কথা থামিয়ে জনতাকে হাততালি দেওয়ার সময় দিয়েছেন। যেখানে থামেন, হাততালির ঝড়ের পর সেখান থেকেই শুরু করেন। শুক্রবার ভার্চুয়াল সভায় সেই সুযোগ ছিল না। তাই বক্তৃতাতে 'দিদি-ও-দিদি' সুরও শোনা গেল না। বিজেপি নেতাদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ভার্চুয়াল সভায় জনতার সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানার বা দেখার সুযোগ থাকে না। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবেই মোদী ওই ‘জনমনহরণী’ প্রক্রিয়ায় যানি। নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন ‘কাজের কথা’-য়।