ছবি—শাটারস্টক।
রাজ্যে ভোটের শেষ দু’দফায় কলকাতার ১১টি আসনে ভোট। তার আগে ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, কলকাতা হবে ভবিষ্যতের শহর। ‘সিটি অব ফিউচার’। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতাকে একদিন আনন্দের শহর (সিটি অব জয়) বলা হত। এর পর কলকাতা হবে ভবিষ্যতের শহর।’’
এই কথা মোদী তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতায় আগেও বলেছেন। কিন্তু বিশেষত, কলকাতার ১১টি আসনে ভোটের আগে তাঁর এই কথা বলা আরও ‘তাৎপর্য’ পেয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি মনে করে, যে মেরুকরণের রাজনীতিকে তারা এ বারের ভোটে অদ্যাবধি ব্যবহার করে এসেছে, শহরাঞ্চলে তার অভিঘাত তত প্রবল না-ও হতে পারে। শহরের মানুষ চান উন্নত পরিষেবা, ভাল রাস্তাঘাট, পরিচ্ছিন্ন পানীয় জল, যোগাযোগ ব্যবস্থা বা বিদ্যুৎ পরিষেবার মতো বিষয়গুলি আরও উন্নত হোক। ‘ধর্মের রাজনীতি’ তাঁদের আকর্ষণ করতে পারে না।
বস্তুত, বিজেপি নেতাদের একটা অংশ মনে করে, শহরের ‘উচ্চশ্রেণির মানুষ’ তাদের এখনও নিজেদের সঙ্গে একাত্ম করতে পারেন না। বরং তাঁরা বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কড়া বিরোধিতা করেন। সে কথা প্রকাশ্যে বলতেও পিছপা হন না। ফলে স্বাভাববিক ভাবেই, মোদী নজর দিয়েছেন নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের উপর। তিনি যেমন উল্লেখ করেছেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে আগে কলকাতা শহরে পাতাল রেল শুরুর কথা, তেমনই জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর কাজ আরও ত্বরাণ্বিত করছে কেন্দ্রে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। যা কলকাতাকে সবদিক থেকেই ‘ভবিষ্যতের শহর’ করে তুলবে। মোদীর কথায়, ‘সিটি অব ফিউচার’।