দীনেশ বজাজ।
এ বার বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীনেশ বাজাজ। বুধবার দুপুরে কলকাতার হেস্টিংসের দফতরে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্ম প্রতীকের গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবেন তিনি।
৫ মার্চ তিনি তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সেখানেই দীনেশের বিজেপি-তে যোগদান চূড়ান্ত হয়। রাতেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে ফোন করে কলকাতার দফতরে এসে দলের যোগদানের প্রস্তাব দেন। ফোনেই দিলীপকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মতি দেন দীনেশ।
প্রসঙ্গত, দীনেশের পিতা সত্যনারায়ণ বাজাজ ২০০১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। পাঁচ বছর পর ২০০৬ সালে ওই আসনেই দীনেশকে টিকিট দেন মমতা। ভোটে জিতে বিধায়ক হলেও, ২০১১ সালে তাঁকে আর প্রার্থী করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও অবশ্য দীনেশ বিদ্রোহী হয়ে দল ছাড়েননি। ২০২০ সালের রাজ্যসভা ভোটে দীনেশকে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল তাঁকে নিজেদের অতিরিক্ত ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের কথাতেই নাকি ওই সময় প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
বিজেপি-তে যোগদানের আগে দীনেশ বলেছেন, ‘‘আমরা ২০ বছর ধরে তৃণমূল করেছি। তখন দলটা দিদি চালাতেন। আর এখন দিদিকে অন্য কেউ চালায়। তাই তৃণমূল যে ভাবে চলছিল তাতে আর আমার পক্ষে দল করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই দল আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিজেপি-তে গিয়ে নতুন করে সবকিছু শুরু করব।’’ আর তৃণমূলের দাবি, টিকিট না পেয়েই দল ছেড়েছিলেন। আর দলে দীনেশের কোনও গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। তাই উনি বিজেপি-তে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।