পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। নিজস্ব চিত্র
যত দিন গড়াচ্ছে ততই চড়ছে বিধানসভা ভোটের পারদ। জোরকদমে শুরু হয়েছে সব শিবিরের প্রচার। সেই সঙ্গে পতাকা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কারণ আগের থেকে এক লাফে অনেকটা বেড়েছে পতাকার চাহিদা। ফলে স্নান-খাওয়ার সময় নেই তাঁদের। হাওড়ার জগাছার উনসানিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা কারিগর মহলে। আক্ষরিক অর্থে কারিগররাই হয়ে উঠেছেন নির্বাচনের ‘ধ্বজাধারী’।
পতাকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন উনসানির বহু মানুষ। নির্বাচন এলেই সময় তাঁদের ব্যস্ততা ওঠে তুঙ্গে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই যোগাযোগ করতে শুরু করেন উনসানির পতাকা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। রাজু হালদার নামে তেমনই এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘‘শুধু নির্বাচনের জন্যই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমাদের কাছে পতাকা তৈরির বরাত আসে। তবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এ বারের ভোটে পতাকার চাহিদা বেশি। বাজারে বাড়তি চাহিদা থাকায় আমরা খুশি।’’ তাঁদের দাবি, এ বার বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা জোড়াফুল শিবিরের পতাকার। তবে তুল্যমূল্য বিচারে পিছিয়ে নেই বিজেপি-ও।
উনসানির পতাকা তৈরির কারখানাতেও কর্মীদের ব্যস্ততা চরমে। তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস-সহ প্রায় সব দলেরই বরাত অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে পতাকা। তার পর ওই পতাকা থেকে চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এর পাশাপাশি সরবরাহ করা হচ্ছে কলকাতার বড়বাজারেও। কারিগর শেখ রাজেশ বললেন, ‘‘গত বছর লকডাউনের কারণে তাদের ব্যবসায় প্রচণ্ড ক্ষতি হয়। কারণ পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। পকেটে খাবার কেনার টাকা ছিল না। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে কাজের চাপ বেড়েছে বটে, তবে পকেটে পয়সা আসার ব্যবস্থা হল।’’