ভাল ফলের আশায় মোর্চা —ফাইল চিত্র
গত লোকসভা নির্বাচনে জেলায় প্রায় ৫০ শতাংশ বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি বাম, কংগ্রেস। এ বার সেই বীরভূমেই সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারবে বলে আশাবাদী উভয় দল। কোনও ‘কঠিন’ বুথ থাকবে না বলেও মনে করছেন নেতৃত্ব।
সোমবার দুপুরে রামপুরহাট কেন্দ্রে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ এর সংযুক্ত মোর্চার কর্মী বৈঠক ছিল। রামপুরহাট পুরসভার অনুষ্ঠান ভবনে ওই বৈঠকে রামপুরহাট ১ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের বুথ স্তরের কর্মীরা ছিলেন। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে বামফ্রন্টের জেলা নেতৃত্বদের পাশাপাশি কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বও ছিলেন। জেলা বামফ্রন্টের আহবায়ক মনসা হাঁসদা মেনেছেন, লোকসভা নির্বাচনে জেলার অর্ধেক বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারা যায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারে কঠিন বুথ বলে আর কিছু থাকবে না। ১০০ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারব।’’
গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম কংগ্রেস জোটের কংগ্রেস প্রার্থীর লড়াই হয়েছিল। বিজেপি তৃতীয় স্থানে ছিল। লোকসভা নির্বাচনে আবার তৃণমূল, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এই তিন দলের থেকে বেশি ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে ছিল বিজেপি। মনসা হাঁসদার কথায়, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে সমস্ত মানুষের সমর্থন পেয়েছিল, তাঁরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। মানুষ এখন জবাব দিতে তৈরি।’’
এ দিকে, জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতি বুথে কর্মীরা সংযুক্তা মোর্চার এলাকার প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করেছেন। ছোটখাটো সভাও চলছে। নতুন নতুন কার্যালয় খোলাও শুরু হয়েছে। বুথস্তরের কর্মীরা আগের থেকে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই করতে প্রস্তুত বলেও নেতৃত্বের দাবি। ওই কর্মী বৈঠকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কমিটির দুই নেতা যথাক্রমে রামচন্দ্র ডোম এবং গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটের সমর্থনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে নলহাটিতে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই দুই নেতা। রামচন্দ্র ডোমের কথায়, ‘‘ব্রিগেডের সমাবেশে রাজ্যের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলকে তাড়াতে এবং বিজেপিকে রুখতে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন বা লোকসভা নির্বাচনের থেকে পরিস্থিতি অনেক ভাল।’’
বৈঠক শেষে রামপুরহাট বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব বর্মণের সমর্থনে শহরে মিছিল হয়। সেখানে কংগ্রেস কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।