গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে আক্রমণ করলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ। শনিবার রাতে দ্বিতীয় দফায় এআইসিসি আরও ৩৯টি আসনে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় দেখা যায়, ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাদাব খান। এই আসনের অন্যতম দাবিদার ছিলেন প্রদীপ। কিন্তু নিজের নাম না দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। নেটমাধ্যমে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে টিকিট না পাওয়ার জন্য মান্নান সাহেবকে দায়ী করলেন।
বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ করে প্রদীপ লেখেন, ‘মান্নানদা এটা আপনি কী করলেন?আমাকে আপনি ফোন করে বললেন যে, অধীর চৌধুরী আমার নাম প্রস্তাব করেছেন আর আপনি সমর্থন করেছেন, এই তার নমুনা? শুধু আপনার সঙ্গে থাকে বলেই তাকে প্রার্থী করতে হবে? পাতালে গিয়েও প্রার্থী করতে হবে? ৯২ আসনের মধ্যে ভবানীপুরটাই পছন্দ হল আপনাদের? আপনারা নিজের জেলায় দিতে পারতেন তো একটা আসন, নিজের আসনটাও তো দিয়ে দিতে পারতেন| সেটা তো করলেন না? কাকে বার্তা দিলেন তৃণমূলকে ? ভবানীপুরে যাতে তৃণমূলের জয় সহজ হয়? নাকিরাজ্যপালের কথায় কংগ্রেসি ভোট বিজেপি-তে সেই অপচেষ্টা’?
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সম্পর্ক বেশ ভাল। সেই সম্পর্কের কথা তুলেও তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন প্রদীপ। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আরও লিখেছেন, ‘তৃণমূল দক্ষিণ কলকাতায় এতদিন কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করতে পারে নি, কিন্তু আপনারাএক মূহুর্তে করে দিলেন| কোটি টাকা খরচা করে যুব কংগ্রেসের পদ অলঙ্কার করা ছাড়া কংগ্রেসে অবদানটা কী? তা-ও মাত্র ২-৩ বছর হল| আমি ৩৩ বছর ধরে রাজনীতি করি, দক্ষিণ কলকাতা আপামর মানুষ জানেন| তখন আপনি রাজ্য সেবাদলের চেয়ারম্যানও হননি | দলে থাকি বা না থাকি, আমরা জবাব চাইবপ্রদেশের কাছ থেকে, এআইসিসির কাছ থেকে’|
শুধু নেটমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ জানিয়েই ক্ষান্ত হননি প্রদীপ। রবিবার দুপুরে হাজরা মোড়ে তাঁর টিকিট না পাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। পাশাপাশি, ভবানীপুরের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির ক্ষোভ নিয়ে বেজায় বিরক্ত প্রবীণ নেতা মান্নান। তিনি বলেন, ‘‘কেউ টিকিট না পেলেই যদি আমাকে দায়ী করা হয়, তাহলে যাঁরা টিকিট পেয়েছেন তাঁরা কী আমার জন্য টিকিট পেয়েছেন? এ বিষয়ে আমি আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’