প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র
ভোট শিয়রে। কিন্তু এখও দার্জিলিং জেলার চল্লিশ শতাংশের মতো ভোটকর্মীর করোনার টিকা নেওয়া হয়নি বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরেরই একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, প্রশাসনকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বারবার জানালেও তারা সমস্যা মেটাতে পারেনি। মাসখানেক আগে থেকে ভোট কর্মীদের টিকাকারণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, ৬ মার্চের মধ্যে তাঁদের সকলে যেন করোনার টিকা নেন। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে ৫০ শতাংশের মতো ভোটকর্মী টিকা নিয়েছিলেন। তাই পরে তাঁদের টিকাকরণ চালাতে হচ্ছে। এবং এখনও ভোটকর্মীদের অনেকেই টিকা নেননি বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
প্রশাসনের দাবি, ৪০ নয়, তবে ৩০ শতাংশের মতো ভোটকর্মী এখনও টিকা নেননি। তাদের ফের অনুরোধ করা হচ্ছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী বলেন, ‘‘৩০ শতাংশের মতো ভোটকর্মী এখনও প্রতিষেধক নেননি। তাঁরা যাতে প্রতিষেধক নেন, তার জন্য ফের অনুরোধ করা হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি থেকে। এর পর পুলিশ, প্রশাসন-পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়। তা শেষ না হতেই ভোটকর্মীদের টিকাকরণ শুরু হয়। শুরুর দিকে ভোটকর্মীদের অনেকেই টিকা নিচ্ছিলেন না দেখে জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের অনুরোধ করা হয়। প্রশিক্ষণ শুরু হলে সেখানেও জানানো হয়েছিল, যাঁরা প্রতিষেধক নেননি, তাঁরা দ্রুত যাতে নিয়ে নেন। তার পরেও ভোটকর্মীদের একাংশকে উৎসাহী করা যায়নি বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর চেয়েছিল, সাধারণ মানুষের টিকা কর্মসূচি (৬ মার্চ থেকে যা শুরু হয়েছে) শুরুর আগেই ভোটকর্মীদের টিকা-পর্ব শেষ করতে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। তাতেও কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।
অবশ্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেই প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি। দার্জিলিং জেলায় ৯ হাজারের মতো ভোটকর্মী রয়েছেন। প্রতিষেধকের দায়িত্বে থাকা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-৩ সংযুক্ত লিউ বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি জানানো হয়। তারাও ভোট কর্মীদের প্রতিষেধক নিতে বলছেন। কিন্তু তার পরেও ৪০ শতাংশের মতো ভোট কর্মী এখনও প্রতিষেধক নেননি।’’ ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এখন জেলায় ৩০টির বেশি প্রতিষেধক কেন্দ্র কাজ করছে। প্রতিদিন ৮ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ ভোটকর্মীরা সকলে নিতে চাইছেন না।