নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল বিরোধী ভোট একটি মাত্র চিহ্নে পড়ুক, সিপিএমকে ভোট দিলে তা নষ্ট হবে বলেই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু বাপুলির সমর্থনে খাড়ি গুণসিন্ধু বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে রবিবার সভা করেন শুভেন্দু। সেখানে এমন মন্তব্য করেন। বলেন, ‘‘অনেকে ভাবছেন কান্তিবাবুকে ভোট দেবেন। এর মানে তো নোটাতে ভোট দেওয়া। ভোট নষ্ট করা। কান্তিবাবুর দল পশ্চিমবঙ্গে নেই। উঠে গিয়েছে।’’
রবিবারের সভা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একদিকে ফলতার জাহাঙ্গির খান, অন্য দিকে ক্যানিং-এর সওকাত মোল্লা, কুলতলির গণেশের মতো ছোট ছোট তোলাবাজদের নিয়ে ভাইপো দল তৈরি করেছে। তাদের অত্যাচারে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত।’’
যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তোলাবাজ ভাইপো ক’দিন আগে বলছিল, এ বারের মতো শেষ লাইন দিয়ে ভোট দিন। তার মানে কী? মানে ওঁরা যদি কোনও দিন পাকিস্তানের সাহায্যে হড়কে বেরিয়ে যান, তাহলে আর কখনও পশ্চিমবঙ্গে কোনও নির্বাচন হবে না।’’
শনিবারই রায়দিঘিতে জনসভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সভায় বলেছিলেন দেবশ্রীকে তিনিই টিকিট দেননি। এ বার সেই প্রসঙ্গটি নিয়েও মমতাকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাননীয়া এসে বড় বড় কথা বললেন। দেবশ্রীকে নাকি উনি তাড়িয়েছেন। কবে তাড়ালেন? দু’বার তো টিকিট দিয়েছেন। সারাক্ষণ মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছেন। আর ওঁর কী মুখের ভাষা! জ্যোতিবাবু, সিদ্ধার্থ রায়ের মুখেও এমন কথা কখনো শুনিনি।’’ সভা থেকে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আওয়াজ তুলে শুভেন্দু বললেন, ‘‘আমরা কথা দিচ্ছি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েতে সব দলকে মনোনয়নপত্র জমা করতে দেব, পুরসভার নির্বাচন হবে, স্কুলের পরিচালন কমিটির নির্বাচন ফিরিয়ে আনব। কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট করব। পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’’