সোনালি গুহ। ফাইল চিত্র
শুক্রবার টিকিট না পেয়ে, আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন। পর দিনই চোখের জল মুছে বিজেপি শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ। সোমবার দুপুরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই দলবদলের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা।
গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোযণা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার প্রার্থিতালিকায় তারকাদের ভিড় চমক। কিন্তু তার থেকেও বড় চমক গত বারের ৬৪ জন বিধায়ককে একধাক্কায় ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের ওই ‘বাতিল’ তালিকায় রয়েছেন সাতগাছিয়ার সোনালিও। টিকিট না পেয়ে ‘মনোক্ষুণ্ণ’ হয়েছিলেন সোনালি। ঘটনার ‘আকস্মিকতা’য় আবেগ চাপতে না পেরে কেঁদে ফেলেছিলেন। প্রথমে কান্না, তার পরই দলবদলের ভাবনা। শনিবার সোনালি আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে মুকুল রায়ের কথা হয়েছে। বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।’’ সোমবার দলবদলের সেই প্রক্রিয়ায় সিলমোহর পড়তে পারে। তেমনটা হলে, জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক চুকিয়ে বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সোনালি।
রাজ্যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মুখে একাধিক তৃণমূল নেতা, নেত্রী দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। দলবদল নিয়ে নানা মত দলত্যাগীদের। তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতানেত্রীদের ‘ওজন’-এ দল ‘ভারী’ হওয়া নিয়ে দৃশ্যত খুশি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোনালির দলত্যাগ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘উনি (সোনালি গুহ) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩০ বছরের সঙ্গী। এত বছর একসঙ্গে কাজ করার পর যদি কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন তা হলে দোষ কোথায়? তৃণমূল ভাঙার জন্য মমতা একাই যথেষ্ট।’’
২০১১-য় রাজ্যে পালাবদলের আগে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন পর্বে তৃণমূল নেত্রীর ‘ছায়াসঙ্গী’ ছিলেন সোনালি। মমতা তাঁকে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারও করেছিলেন। কিন্তু নানা কারণে দল এবং নেত্রীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। ২০১৬ সালেও তাঁকে সাতগাছিয়া থেকেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। জিতেওছিলেন সোনালি। ২০২১ সালেই উলটপুরাণ। টিকিটই পাননি সোনালি।