প্রতীকী ছবি।
কেরলের ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে ৬ এপ্রিল। সেখানে প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। তাই বাংলার তৃতীয় দফার ভোট হয়ে গেলেও, দেখা মেলেনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতাদের। কিন্তু কেরলের ভোট মিটতেই তাঁরা বাংলামুখী হতে শুরু করেছেন। তৃতীয় দফার ভোটেও সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা না মেলায় প্রশ্ন উঠছিল, কেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের অংশ নিচ্ছেন না? যে কারণে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। জবাবে তিনি বলেছেন, "আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রচারের সূচি তৈরি করা হয়েছে। সেই সূচি মেনেই তাঁরা প্রচার করবেন।"
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন কেরলে ভোট ছিল। যেখানে বামফ্রন্টের প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস। আর বাংলায় সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই জোট বেঁধে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। তাই এক সময় দু'রকম কথা বলতে চাননি সিপিএমের পলিটব্যুরো তথা কেন্দ্রীয় নেতারা। কেরলে যে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘কুস্তি’, সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই বাংলায় ‘দোস্তি’র বিষয়টি নিয়ে সরব হতে পারে বিজেপি কিংবা তৃণমূল।
বিরোধীদের হাতে এমন মোক্ষম তাস তুলে দিতে নারাজ ছিল সিপিএম। এমনিতেই ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাম-কংগ্রেস জোটকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, "যে কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও বলে স্লোগান দিত, সেই হাত এখন কেন ধরতে হচ্ছে ?" তাই বিজেপি নেতাদের হাতে এমন প্রচারের অস্ত্র না দিতেই সাবধানী পদক্ষেপ নিয়েছে সিপিএম।
তাই কেরলের ভোট মিটতেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট, পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাটরা একে একে প্রচারে আসবেন। মঙ্গলবার কেরলে ভোট এক দফাতেই শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার হাওড়ার বালিতে বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের প্রচারে এসেছেন বৃন্দা। আগামী দিনে তাঁরা বামফ্রন্টের প্রার্থীদের পাশাপাশি, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের হয়েও প্রচারে নামবেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। কেরলের ভোট মিটে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে প্রচারে নামবেন তাঁরা।