প্রতীকী চিত্র।
ফের প্রার্থী বদল তৃণমূলে। এ বার প্রার্থী বদল হল দার্জিলিং জেলা(সমতল)-এর মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধানসভা কেন্দ্রের। ঘোষিত প্রার্থীর বদলে এ বার প্রার্থী হলেন রাজেন সুনদাস। ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়কে। গত ৫ মার্চ কালীঘাটের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি আইটি সেল থেকে তৃণমূলে যোগদান করা নলিনীরঞ্জনকে এই আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দোলের দিন প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে তৃণমূল শিবির জানিয়ে দিল প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্তের কথা। নাম ঘোষণার পর থেকে প্রায় ২২ দিন ধরে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন এই প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। কিন্তু রবিবার আচমকাই নলিনীরঞ্জনকে সরিয়ে প্রার্থী করা হল রাজেনকে। মাটিগাড়ার নকশালবাড়ি এলাকার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা তিনি। উত্তরবঙ্গে আরটিও অধিকারিক হিসেবেই পরিচিতি তাঁর। বছর দুয়েক আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। রাজনীতির ময়দানে এই প্রথম দেখা যাবে এই প্রাক্তন পরিবহণ আধিকারিককে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের যোগদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাক্তন সেনাকর্তা নলিনীরঞ্জনকে প্রার্থী করা হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। তখনই শীর্ষ নেতৃত্বকে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সময় থেকেই প্রার্থী বদলের পরিকল্পনা ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের মাথায়। সূত্রের খবর, প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত দিন দুয়েক আগেই নিয়ে ফেলেছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। দোলের দিন সকালে সেই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হল। শুধু মাটিগাড়া নকশালবাড়িই নয়, এর আগে ১৯ মার্চ ৪টি আসনে প্রার্থী বদল করেছিল তৃণমূল। সে বার কল্যাণীতে রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে তাঁর পুত্র অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, আমডাঙা থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী মোর্তাজা হোসেনকে সরিয়ে বিদায়ী বিধায়ক রফিকুর রহমান, অশোকনগরে বিদায়ী বিধায়ক ধীমান রায়ের বদলে নারায়ণ গোস্বামী ও বীরভুমের দুবরাজপুরে অসীমা ধীবরের বদলে দেবব্রত সাহাকে প্রার্থী করা হয়। সূত্রের খবর, হুগলির একটি আসনেও প্রার্থী বদলের কথা ভাবছে তৃণমূল।