মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজস্ব চিত্র
যে এজেন্টরা বিজেপি-র ভয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে যান, তাঁদের ‘কাপুরুষ’ বলে মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে তিনি নন্দীগ্রামের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বুথে মহিলা এজেন্ট বসানোর প্রস্তাবও দিলেন সোমবার।
হুগলির চুঁচুড়ায় সোমবার জনসভা ছিল তৃণমূলনেত্রীর। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোনও এজেন্ট যদি মনে করেন, তিনি দুর্বল, বিজেপি কিছু বললে কেঁদে ফেলবেন, তাঁর এজেন্ট হওয়ার দরকার নেই। আগে থেকে বলে দিন, হবে না। কাপুরুষদের আমি চাই না।’’
এর পরেই তিনি নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তোলেন। মমতা বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে আমি দেখেছি। ওরা মেরেছে। মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি গিয়েছিলাম সেখানে। কিন্তু এজেন্ট যখন আমি হব, তখন আমি বসবই। মেরে ফেললেও আমি উঠব না। আমি দেখতে চাই কী করে।’’
গত ১ এপ্রিল ভোট ছল নন্দীগ্রামে। ওই দিন সকাল থেকেই মমতা রেয়াপাড়ার অস্থায়ী আস্তানায় ছিলেন। দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি যান বয়ালের একটি বুথে। ৭ নম্বর ওই বুথের তৃণমূল এজেন্টকে ভয় দেখিয়ে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। বুথের মধ্যেই হুইল চেয়ারে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি। বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে প্রায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ কোনওমতে পরিস্থিতি সামলে মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে বার করে আনেন। রবিবারও মমতা বলেছিলেন, ‘‘দরকার পড়লে বুথে বুথে মহিলাদের এজেন্ট করে দেওয়া হবে। এটা ওদের (বিজেপি-র) কায়দা। জানে ভোটে জিতবে না। তাই ভয় দেখাচ্ছে। নন্দীগ্রামে ভোটের আগের দিন অনেক অত্যাচার করেছে। আমি সেই জন্য ওখানে (বয়ালের বুথে) বসেছিলাম।’’
এজেন্টকে যদি ভয় দেখানো হয়, তা হলে কী করা হবে? তার উপায়ও বাতলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি মনে করে, বিজেপি কিছু বললেই কেঁদে ফেলবে, তা হলে তাঁকে এজেন্ট করার দরকার নেই। যাঁরা ভয়ে পালিয়ে যান, তাঁদের আমি মহাপুরুষ বলি না, বীরপুরুষ বলি না, কাপুরুষ বলি। যদি পরিস্থিতি তেমন হয়, যেখানে লোক পাওয়া যাচ্ছে না, তা হলে কন্যাশ্রীকে এজেন্ট করে দিন। বঙ্গজননীকে এজেন্ট করে দিন। মেয়েরা লড়ে নেবে।’’