কালীঘাটে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
প্রতি বছরের মতো এ বারও নববর্ষের আগের সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে এসে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪২৮ বঙ্গাব্দ শুরু হবে আগামিকাল। নীলবাড়ির লড়াইয়ের ফল ঘোষণা হবে এই বঙ্গাব্দেই।
কালীঘাট মন্দির সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ কালীঘাট মন্দির আসেন মমতা। প্রায় ৪৫ মিনিট মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তিনি। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই সময় কাউকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্দিরের এক পুরোহিত। শাড়ি, আলতা, সিঁদুর, মিষ্টি-সহ পুজোর সামগ্রী দিয়ে ডালা সাজিয়ে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষণ ধরে আরতিও করেছেন তিনি। অনেক ক্ষণ ধরে প্রণাম করতেও দেখা যায় তাঁকে।
বুধবার দিনভর ব্যস্ত কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সকালে বিশেষ বিমান ধরে কলকাতা থেকে বাগডোগরায় যান মমতা। সেখান থেকে যান কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায়। শীতলখুচির নিহতের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় মোট পাঁচটি প্রচার সভাও করেন। সেখান থেকে ফিরে যান নদিয়ার হরিণঘাটায়। তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগ মল্লিকের প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরে সরাসরি কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আসা মাত্রই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভগৃহে। মুখ্যমন্ত্রীর পা যেহেতু এখনও ঠিক হয়নি, তাই হুইলচেয়ারে করেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মন্দিরের গর্ভগৃহে নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
কালীঘাট মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ হালদার বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাদের আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনি পুজো দিতে আসবেন। আমরা সেভাবেই নিজেদের তৈরি রেখেছিলাম। তাছাড়া প্রতিবছরই পয়লা বৈশাখ মুখ্যমন্ত্রী পুজো দিতে আসেন। তাই আমাদের কাছে তাঁর পুজো দিতে আসার ঘটনা কোনও নতুন কিছু নয়।"
প্রসঙ্গত, গত বছর কোভিড সংক্রমণের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল কালীঘাট মন্দির। তাই সেবার পুজোর ডালা পাঠালেও সশরীরে হাজির হননি মুখ্যমন্ত্রী।