নিজস্ব চিত্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে কমিশনকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে আক্রমণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বললেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন একতরফা আচরণ করছে। রাহুল সিনহা বলেছেন, ৮-৯ জনকে মারলে ভাল হত। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি হবে। এরপরেও তাঁদের কিছু হল না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হল। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন।’’ মঙ্গলে সন্ধ্যার পর অনুব্রতকে শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাত ১১ টার মধ্যেই জবাব তলব করা হয়েছে। জবাব না এলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন অনুব্রত। তাঁকে নজরবন্দি করেছিলেন কমিশন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও তুলে আনলেন অনুব্রত। বললেন, ‘‘আমি যদি ওই কথা বলতাম (দিলীপ বা রাহুলের মতো) তাহলে আমাকে নজরবন্দি করে রাখা হত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে নজরবন্দি করে দিতে কমিশন।’’ অনুব্রত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির পুরো প্রক্রিয়া বাংলার মানুষ দেখছেন। তাঁরাই এর বিচার করবেন।
মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি বিজেপি-র প্রার্থী রাহুল সিংহের প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। তা নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর স্পষ্ট জবাবা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আর রাহুল সিনহার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা একই বিষয় নয়। এতবছর ধরে আমরা নির্বাচন করছি, কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটতে দেখিনি। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, সেটারই কোনও উত্তর নেই।’’ প্রায় প্রতি দফার নির্বাচনে নানা অশান্তি হয়েছে, কম বেশি মৃত্যুও হয়েছে। অনুব্রত বলেন, বীরভূমের নির্বাচন যেমন শান্তিপূর্ণ হত, তেমনই হবে। এ বারেও কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাবে না।