মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিষেধাজ্ঞা উঠতেই আগামী কাল, বুধবার সকালে শীতলখুচির আহতদের দেখতে মাথাভাঙা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যান চারজন যুবক, আহত হন আরও তিনজন।
ওই দিনই শিলিগুড়ি পৌঁছে মমতা ঘোষণা করেন, পরদিন সকালেই শীতলখুচিতে গিয়ে নিহত পরিবারবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কিন্তু রাতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা কোচবিহারে যেতে পারবেন না। এমন নির্দেশের কথা জানার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটমাধ্যমে মমতা জানিয়ে দেন, ৭২ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হলেই তিনি যাবেন শীতলখুচির নিহতদের পরিবারবর্গ ও আহতদের সঙ্গে দেখা করতে।
যদিও, রবিবারই ভারচুয়াল মাধ্যমে নিহতদের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতেই তিনি শীতলখুচি যাবেন। সেখানে এখনও ওই ঘটনায় আহত তিনজন ভর্তি রয়েছেন। মূলত তাঁদের সঙ্গেই হাসপাতালে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাথাভাঙা হাসপাতালে সাক্ষাৎপর্ব শেষ করে আবারও প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মমতা। সেখান থেকে হেলিকপ্টরে উড়ে যাবেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের সমর্থনে আয়োজিত প্রচারসভায় অংশ নিতে। পরে যাবেন জলপাইগুড়ি বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপকুমার বর্মণের প্রচারে। সেখান থেকেই আসবেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায়। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই আসনে ফের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সমর্থনে জনসভা করবেন মমতা। এরপর দার্জিলিং জেলা (সমতল)-এর বিধানসভা কেন্দ্র মাটিগাড়া নকশালবাড়িতে তৃণমূল প্রার্থী রাজেন সুনদাসের সমর্থন জনসভার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে আসবেন দমদম বিমানবন্দরে। হেলিকপ্টারে যাবেন নদিয়া জেলার হরিণঘাটায়। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগ মল্লিকের সমর্থনে জনসভা করে বুধবারের প্রচার কর্মসূচি শেষ করবেন মমতা।