অমিত শাহ ও ডেরেক ও ব্রায়েন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তবে তাঁর সেই খেলা সফল হয়নি আগে। এ বারেও তা হবে না। এ বারেও তাঁর ঝুলিতে একরাশ নিরাশাই ধরা দেবে।
রবিবার যখন বাংলার মানুষ দোল উদযাপনে ব্যস্ত তখন আচমকাই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, ‘‘আমরা বড় ব্যবধানে জিতব। আমাদের জয়ের ব্যবধানও বাড়বে। আসনও বাড়বে। এর স্পষ্ট ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। ভোটের পরে আমি রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে আমি বলতে পারি প্রথম দফার ৩০টার মধ্যে ২৬টা আসনই জিতব।’’ শাহের এমন মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়ায় ডেরেক ও ব্রায়েন জানান সাফল্য পাবেন না অমিতরা।
রবিবার দুপুরে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে নিজের দফতরে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র দাবি করেন, ‘‘মনস্তাত্ত্বিক চাপের খেলা খেলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৫ সালেও তিনি এমন খেলা বহুবার খেলেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্য আসেনি। এ বারও তাঁর ঝুলিতে একরাশ নিরাশাই ধরা দেবে।’’ উদাহরণস্বরূপ, দিল্লির দু’বারের বিধানসভা ভোটের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ডেরেক বলেন, ‘‘এরকমই মানসিক চাপের খেলা খেলে দিল্লিতে দু’বারই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এমনকি, দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে দু’অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেনি শাহের দল। তাই খেলা হবে, এবং সেই খেলার শেষ ২ মে হবে। এখন থেকে চাপ বাড়িয়ে লাভ নেই। কারণ টুরিস্ট গ্যাঙ বাংলাকে চেনে না। তাই এমন সব খেলা শুরু করেছেন।’’ বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র নিয়েও শাহের দাবির কথা তুলে ধরেন। এমন কথা বলার পাশাপাশি, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে ‘ঢপবাজ’ ও ‘গুলবাজ’ বিশেষণেও আক্রমণ করেন ডেরেক।
২০১৬ সালের ভোটের উপমা টেনে ডেরেক বলেছেন, ‘‘সে বার ভোটেও জঙ্গলমহল দিয়েই ভোটের সূচনা হয়েছিল। প্রথম দফা ভোটের পরেই সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। তারপর যখন ভোটের ফলাফল প্রকাশ পায় সেদিনই দেখা গিয়েছিল কারা ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আর কারা হেরেছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিজেপি জিতবে। কিন্তু ২ মে যেদিন ভোটের বাক্স খোলা হবে, সেদিন আর ওরা কোথাও থাকবে না।’’
দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন্দীগ্রামের জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষদের বলতে চাই নন্দীগ্রাম পরিবর্তন করলে গোটা বাংলাতেই পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই আমি তাঁদের এই আবেদনই করতে চাই যে নন্দীগ্রাম থেকেই পরিবর্তন শুরু হোক।’’ জবাবে ডেরেক বলেছেন, ‘‘আপনি বলছেন নন্দীগ্রাম থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হোক। আপনি ৩০ তারিখে নন্দীগ্রামে আসছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। কারণ আপনি যেখানেই যাবেন ১ শতাংশ করে ভোট কমাবেন। আপনার মতো টুরিস্ট রাজনীতিককে বাংলার মানুষ পছন্দ করে না।’’