রাজ্যের ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি’। নিজস্ব চিত্র।
এক আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই, তার মাঝে আরও একটি দল নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওই দলের নাম ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি’।
ওই দলের রাজ্য সম্পাদক আবু তাহের আনসারি জানিয়েছেন, রাজ্যের ১২টি জেলায় মোট ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেবেন তাঁরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই রাজনৈতিক দলটি নন্দীগ্রামেও প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন আনসারি। এ ছাড়া ভাঙড়, দেগঙ্গা, মগরাহাট পূর্ব ও পশ্চিম, কলকাতা বন্দর, চৌরঙ্গি, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, কুলপি, ডায়মন্ড হারবার, বজবজ, হাড়োয়া, আমডাঙা, নন্দকুমার, বহরমপুর, জঙ্গিপুর, সুতি, রঘুনাথগঞ্জ, রতুয়া-সহ প্রায় ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য দিকে, আব্বাসের দল ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’ও নন্দীগ্রাম-সহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা এলাকাগুলিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
‘ওয়েলফেয়ার পার্টি’ গত লোকসভা নির্বাচনে কেবলমাত্র জঙ্গিপুরে প্রার্থী দিয়েছিল। সে বার তারা প্রার্থী করে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ওমর খালিদের বাবা এস কিউ আর ইলিয়াসকে। মাত্র ১.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ওয়েলফেয়ার পার্টিকে। তবে এ বারের ভোটে তাঁরা ১৫০ আসনে প্রার্থী দিয়ে বাংলার ভোটে নিজেদের প্রস্তুতি জানান দিতে চান বলে জানিয়েছেন আনসারি। নির্বাচনে তাঁদের দলের উপস্থিতি কি মুসলিম ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপি-র জয়ের পথ মসৃণ করবে? জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হাসান বলেন, ‘‘আমাদের উপস্থিতি কাউকে সুবিধা বা অসুবিধা করতে নয়। আমাদের উপস্থিতি বাংলার মানুষের পক্ষে। বিভাজনের জাতপাতের রাজনীতি বা ‘খেলা হবে’ নয়, আগামী নির্বাচনে খাদ্য, বাসস্থান, কাজ নিয়ে প্রচার হবে। মদের বিরুদ্ধে, ঘুষের বিরুদ্ধে, সুদের বিরুদ্ধে প্রচার হবে। শিল্প, কৃষি ও সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ভোটপ্রচার করবেন আমাদের কর্মীরা।’’