আব্বাস সিদ্দিকি এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর সমর্থনে জনসভা করতে নন্দীগ্রাম যাবেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকী। আগামী শুক্রবার নন্দীগ্রাম স্টেট ব্যাঙ্কের মাঠে সংযুক্ত মোর্চার তরফে জোট প্রার্থীর সমর্থনে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকার কথা আব্বাসের।
জোটের আসন রফায় বাম শরিক সিপিআইয়ের ভাগে থাকা নন্দীগ্রাম আসনটি প্রথম দিকে দাবি করেছিল আইএসএফ। শেষমেশ ওই আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন দলের নতুন মুখ মীনাক্ষী। সেই প্রার্থীর সমর্থনেই আব্বাসকে প্রচারে আনতে চাইছে সিপিএম।
নন্দীগ্রাম-১ এবং ২ নম্বর ব্লক নিয়ে ওই বিধানসভা। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হিন্দু ভোটের আধিক্য। সেখানেই তেখালির মাঠে বিজেপি-র তরফে জনসভা করতে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সভা তাঁর। সংযুক্ত মোর্চার তরফে শুক্রবার নন্দীগ্রামে সভা আব্বাসের। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, রাজ্যের বেশ কিছু বাছাই করা আসনে আব্বাসকে দিয়ে প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করানোর ভাবনা রয়েছে বামফ্রন্টের। তারই অঙ্গ হিসেবে ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদাকে নন্দীগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামের লড়াই সকলেই শুভেন্দু বনাম মমতার মধ্যে দেখানোর চেষ্টা করছে। এমনটা দেখানো হচ্ছে যেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী নেই। আমরাও সব রকম প্রচার চালিয়ে চেষ্টা করছি এটা বোঝাতে যে, নন্দীগ্রামের লড়াই আসলে দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী।’’
প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বামফ্রন্টের বর্ষীয়ান এক নেতা বলেন, ‘‘এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলতেন তা মানুষের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যেত। আমরা সেই ভাষায় মমতাকে জবাব দিতে পারিনি বলেই ওঁর উত্থান হয়েছিল। এখন আব্বাসের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। ওর মেঠো বক্তৃতা অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে আব্বাসকে প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা তাই ব্যবহার করছি।’’ আব্বাসের সঙ্গে নন্দীগ্রামের সভায় থাকার কথা সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমেরও।