তৃণমূল নেতার স্ত্রী-কে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে রবিবার বীরভূমের লাভপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতার স্ত্রী-কে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ রবিবার বীরভূম জেলার লাভপুরে এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি, এ নিয়ে বড়সড় আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার লাভপুরের ঠিবা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাঘা গ্রামে দলের নেতা মেতন বাগদির স্ত্রী ঝুমা বাগদির শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে মারধরও করা হয়। দুপুরবেলায় গ্রামের একটি কল থেকে জল আনতে যান ঝুমা। সে সময় ওই এলাকায় মদ্যপান করছিল বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হঠাৎই তারা ঝুমাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ঝুমাকে প্রথমে মারধর করে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। এমনকি ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনও ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে পারেন ঝুমা। রাজনৈতিক আক্রোশের জেরেই বিজেপি কর্মীরা এ কাজ করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের৷ যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে৷
বাঘা গ্রামের স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাজী শেখ বলেন, “বাঘা গ্রামের ২৩৬ নম্বর বুথ এলাকায় তৃণমূল নেতার স্ত্রী-র শ্লীলতাহানি করেছে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা। এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য চক্রান্ত করে মত্ত অবস্থায় এ কাজ করেছে তারা। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে নালিশ জানাব। কমিশন পদক্ষেপ না করলে আমরা বড় আন্দোলন করব।” এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
তবে তৃণমূলের এই ঘটনায় বিজেপি-র ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। লাভপুরের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ৷ নিজেদের পায়ের নীচে মাটি নেই বলে গল্প সাজানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।”