ব্রিগেডে সভাস্থল পরিদর্শনে বিমান বসু সহ বাম নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশ আগামী রবিবার। এখনও সে ভাবে মঞ্চ নির্মাণ শুরু না হলেও, ব্রিগেড ময়দান পরিদর্শন করে এলেন বড় শরিক দল সিপিএমের নেতারা। বুধবার দুপুরে ব্রিগেডে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা রবীন দেব, সুখেন্দু পানিগ্রাহী ও শতরূপ ঘোষ প্রমূখ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মঞ্চ নির্মাণের যাবতীয় সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে ব্রিগেডে। তবে অস্থায়ী মঞ্চের নির্মাণকার্য শুরু হবে আগামী শুক্রবার। কারণ ওইদিন থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মাঠ হাতে পাবেন বামফ্রন্টের নেতৃত্ব।
শনিবার রাতের মধ্যেই মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে। কিন্তু এ বারের কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই মঞ্চ নির্মাণের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিডবিধি মেনে মঞ্চে বসবেন নেতারা। তাই আগের তুলনায় মঞ্চ অনেকটাই বড় করা হচ্ছে। মঞ্চে যাতে নেতারা ‘দো গজ কি দূরি’ বজায় রেখে বসতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মঞ্চে যে সমস্ত নেতারা থাকবেন, তাঁদের জন্য মাস্ক ও স্যানেটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নেতারা এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এমন সচেতনতা প্রসঙ্গে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই মঞ্চ থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ুক এমনটা চাইছেন না তাঁরা। বিশেষ করে যাঁরা মঞ্চে থাকবেন তাঁদের অধিকাংশের বয়সই ষাটোর্ধ্ব। তাই সচেতন ভাবেই বামফ্রন্ট নেতৃত্ব মঞ্চে বসার আয়োজনে জোর দিচ্ছে ‘দো গজ কি দূরি’-কে। সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘ব্রিগেড কর্মসূচির মধ্যেও আমরা করোনার বিষয়টি মাথা রেখেছি। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়েই এ বার মঞ্চ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’
মঞ্চ বড় মাপের তৈরির করার আরও একটি কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছে সিপিএমের একটি সূত্র। এ বার শুধু বামফ্রন্টের নেতারাই নয়, জোট সহযোগী হিসেবে মঞ্চে থাকবেন কংগ্রেসের নেতারা। ইতিমধ্যে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের আসা নিশ্চিত, সঙ্গে আসতে পারেন এআইসিসি-র গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। পাশাপাশি থাকবেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকি-সহ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপমু্খ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব-সহ এনসিপি, জনতা দল (সেকুলার)-এর নেতারা। গুরুত্ব সহকারে মঞ্চে সব নেতাকে বসানোর জন্যও মঞ্চ বড় করার প্রয়োজন হয়েছে বলেই মনে করেছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন।