পশ্চিম মেদিনীপুরের লোধাশুলির বুথ। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়নি প্রায় কোথাওই। কিন্তু জঙ্গল মহলের তিন জেলাতেই ভোট দানের হার ব্যাপক। দুপুর ১টার মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভিড় তেমন বেশি না থাকা সত্ত্বেও এত বেশি ভোট পড়ছে কী করে? নীরব ছাপ্পার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।
নির্বাচনের কমিশনের দেওয়া হিসেব বলছে, পুরুলিয়ায় দুপুর ১টার মধ্যে ৬১.৯৫ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। বাঁকুড়ায় আরও বেশি, ৬২.১৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোটদানের হার পশ্চিম মেদিনীপুরে। দুপুর ১টার মধ্যে সেখানে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৫.৪৫ শতাংশের মতো। এত তাড়াতাড়ি এতটা ভোট পড়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে যে পরিমাণ ভোটারের উপস্থিতি প্রয়োজন, ততটা উপস্থিতি কিন্তু কোথাওই দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও এমন বিপুল হারে ভোটদান। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিভিন্ন বুথে অবাধে বোতাম-ছাপ্পা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের বাহিনী। এত কিছু দেখেশুনে তালড্যাংরার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ভোট হয়ে গিয়েছে।”
সোমবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণে যে ১৮টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে শালবনি, গোপীবল্লভপুর এবং তালড্যাংরা থেকে সবচেয়ে বেশি অনিয়মের খবর আসতে শুরু করেছে। কোথাও ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য খাওয়ানো, কোথাও গাড়ি চড়ানো, কোথাও খোলা জায়গায় ইভিএম খোলা জায়গায় রাখার অভিযোগ এসেছে।
কোথাও আবার বুথ থেকে সিপিএম এজেন্টকে বার করে বুথ দখল করে নেওয়া, কোথাও বিজেপি কর্মীদের অপহরণ, কোথাও বুথের ভিতর স্থানীয় থানার পুলিশের উপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। এত অভিযোগ সত্ত্বেও, নির্বাচন কমিশনের তরফে তেমন সক্রিয়তা নেই। বলছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণেও ঢিলেঢালা ভাব। ভোটারদের লম্বা লাইন না থাকা সত্ত্বেও ভোটদানের এমন উচ্চ হারের রহস্য কি তা হলে সেই নীরব ছাপ্পাই। তৃণমূল ছাড়া বাকি সব দলের দাবি অন্তত তাই।